রেণুকা-সোফিদের দাপটে গুজরাতকে হেলায় হারাল স্মৃতি মন্ধনার বেঙ্গালুরু

গুজরাত জায়ান্টসের বিরুদ্ধে রেণুকা সিং পেয়েছেন ২ উইকেট। একইসঙ্গে তিন উইকেট শিকার করেছেন সোফি মলিনাক্স। ডব্লুপিএলের মঞ্চে জয়ের ধারা অব্যহত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।

author-image
Manoj Kumar
New Update
RCB Won

RCB . (Image Source: X )

ডব্লুপিএলের মঞ্চে জয়ের ধারা অব্যহত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ঘরের মাঠে গুজরাত জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নেমেছিলেন স্মৃতি মন্ধনাদের দল। সেখানেই কার্যত প্রতিপক্ষকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগই দিল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শিবির। বল হাতে সোফি মোলিনাক্স এবং রেণুকা সিং রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন। সেই জায়গা থেকেই দুরন্ত একটা ব্যাটিং পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে সহজ জয় এনে দিলেন স্মৃতি মন্ধনা। পরপর দুই ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আগেই নিজেদের জায়গা করে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

পরপর দুই ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

তবে এবারের ডব্লুপিএলের মঞ্চে প্রথম অর্ধশতরানটা পেলেন না স্মৃতি মন্ধনা। মাত্র ৭ রানের জন্যই সেই সুয়োগ হাতছাড়া হল তাঁর। যদিও জয় পেতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ব্যাটিং থেকে বোলিং দুই জায়গাতেই শুধু দাপট ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। প্রতিপক্ষ গুজরাত জায়ান্টসের ক্রিকেটাররা এদিনও কোনওরকম চাপ তৈরি করতে পারেনি স্মৃতি মন্ধনাদের ওপর। পরপর দুই ম্যাচ হেরে তাদের ওপর চাপ যে বাড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বেঙ্গালুরুতে সম্প্রতি রান তাড়া করে জেতার পরিসংখ্যানটাই বেশী। স্মৃতি মন্ধনাও তার ব্যতিক্রম হতে চাননি। এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন তিনি। শিশিরের সমস্যা এড়ানোর জন্যই যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই স্ট্র্যাটিজে যে একেবারেই ভুল ছিল না তা ম্যাচ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ৮ উইকেটে গুজরাতকে হেলায় হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এদিন শুরু থেকেই গুজরাতের ওপর চাপ তৈরি করতে শুরু করেছিল বেঙ্গালুরুর বোলিং লাইনআপ।

প্রথম ধাক্কাটাই তাদের দেন রেণুকা সিং। তাঁর স্পিনের সামনে কার্যত অসহায়ের মতো আত্মসমর্পন করেন গুজরাত অধিনায়ক বেথ মুনি। আরেক তারকা ক্রিকেটার ফোব লিচফিল্ডকেও মাত্র ৫ রানেই সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রেণুকা সিং। আর তাতেই যেন চিত্রটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সুযোগই পায়নি গুজরাত জায়ান্টস। বাকিটা সামলে দন বল হাতে সোফি মলিনাক্স। ভেদা কৃষ্ণমূর্তি, স্নেহ রানাদের সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এদিন স্কোরবোর্ডে তিন উইকেট সোফির নামে।

১০৭ রানেই শেষ হয়ে যায় গুজরাত জায়ান্টস। এত কম রান নিয়ে বোলারদের পক্ষে বেঙ্গালুরুর এই ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হয়নি। ওপেন করতে নেমে ৪৩ রানের  ইনিংস খেলে জয়টা পাকা করেই সাজঘরে ফেরেন স্মৃতি মন্ধনা। ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চার ও একটি ছয় দিয়ে। ১২.৩ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। 

Sports News