স্মৃতি ঝড়ে জয়ে ফিরলো বেঙ্গালুরু

টানা দুই ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে হার। কিছুটা বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। তারপরে গতকালের ম্যাচ। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করে আরসিবির জয় নিশ্চিত করলেন অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার এলিস পেরি। টানা পরাজয়ের পর জয়ের সরণিতে ফিরলো বেঙ্গালুরু।

author-image
Manoj Kumar
New Update
Smriti Mandhana RCB (Source: X)

Smriti Mandhana (Source: X)

টানা দুই ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে হার। কিছুটা বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। তারপরে গতকালের ম্যাচ। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করে আরসিবির জয় নিশ্চিত করলেন অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার এলিস পেরি। টানা পরাজয়ের পর জয়ের সরণিতে ফিরলো বেঙ্গালুরু।

মাত্র ৫০ বলে ৮০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন স্মৃতি মান্ধানা। ১০টি চারের পাশাপাশি স্মৃতির ব্যাট থেকে তিনটি অনবদ্য ওভার বাউন্ডারিরও সাক্ষী ছিল চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের গ্যালারি। অন্য দিকে এইদিন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ব্যাটারের ছক্কায় কাচ ভাঙে গাড়ির। প্রতিযোগিতায় সেরা ক্রিকেটারকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়ার জন্য যে গাড়িটি মাঠের মধ্যে রাখা হয়, সেটিরই কাঁচ ভাঙেন অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার এলিস পেরি। তার সংগ্রহ ৩৭ বলে ৫৮ রান। তিনিও প্রথম থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করেন। সবমিলিয়ে ছিল ৪টি ছয় ও ৪টি বাউন্ডারির সমাহার। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলতে সক্ষম হয় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। জবাবে পরবর্তীতে ব্যাট করতে নামে ইউপি। যারা আটকে যায় ১৭৫ রানে। এই রান তাড়া করতে তাদের আট উইকেট হারাতে হয়। অ্যালিসা হিলি, দীপ্তি শর্মা ও পুনম খেমনার ছাড়া বিশেষ কেউ সে রকম নজর কাড়তে পারেনি এই ম্যাচে। হিলি কিছুটা লড়াকু ইনিংস খেলেন। তিনি ৩৮ বলে ৫৫ রান সংগ্রহ করেন দলের জন্য। অন্যদিকে এদিন দীপ্তি ও পুনমের প্রাপ্তি ৩৩ ও ৩১ রান।

ম্যাচ শেষে স্মৃতি মান্ধানা বলেছেন, ‘ পিচ খুব ভালো। ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ।’ এর পাশাপাশি তিনি ঘরের মাঠে দর্শকদের প্রশংসা করে বলেন, ‘ এই মাঠে প্রত্যেকটি শটের মর্যাদা পেয়েছি। শেষ দুটি ম্যাচে পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়াতেই হত। আর কোনো বিকল্প ছিল না। মরণবাচনের পরিস্থিতি আমাদের এই ম্যাচ লড়াইতে ফিরতে সাহায্য করেছে।’

এদিন ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় স্মৃতি মান্ধানাকে। কিন্তু তিনি ম্যাচের সেরা পুরস্কার নিতে এসেও বঙ্গ তনয়া রিচা ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন নিজের ব্যাটিংয়ের চেয়েও শেষের দিকে রিচার্জ ১০ বলে অপরাজিত ২১ রানের ইনিংস সত্যিই অনবদ্য ছিল। এই ধরণের ছোটোখাটো বিষয়গুলিই স্মৃতির মতে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। স্মৃতি বলেছেন, ‘রিচার ঝোড়ো ব্যাটিংই ১৯০-র গণ্ডি পার করতে সাহায্য করেছে বেঙ্গালুরুকে।’ সবমিলিয়ে বেঙ্গালুরু শিবিরের মেজাজটা যে বেশ ফুরফুরে, একথা বলাই যায়।

এই ম্যাচ নিয়ে টুইটারে অনেকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন -

Sports News