তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ধরাশায়ী করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আন্দ্রে রাসেল এবং শেরফেন রাদারফোর্ডের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে মিচেল মার্শের নেতৃত্বাধীন দলকে হারতে হল। তবে শেষ টি-২০ ম্যাচটিতে হেরে যাওয়ার পরেও সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিতে সক্ষম হল অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট করতে নেমে তারা শুরুটা একেবারেই ভালোভাবে করতে পারেনি। মাত্র ১৭ রানের মধ্যেই তারা ৩টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। দুই ওপেনার জনসন চার্লস এবং কাইল মেয়ার্স যথাক্রমে ৬ বলে ৪ রান এবং ৭ বলে ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। নিকোলাস পুরান ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। তিনি ৩ বলে মাত্র ১ রান করে নিজের উইকেট হারান। এরপর রোস্টন চেস ৩টি চার এবং ২টি ছয় সহ ২০ বলে ৩৭ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ১৪ বলে ২১ রান করে আউট হন।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আন্দ্রে রাসেল এবং শেরফেন রাদারফোর্ড মিলে ১৩৯ রানের একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ করেন। রাসেল ২৯ বলে ৭১ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অন্যদিকে, রাদারফোর্ড ৪০ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২২০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জেভিয়ার বার্টলেট ২টি উইকেট শিকার করেন। জেসন বেহরেনডর্ফ, স্পেনসর জনসন, অ্যাডাম জাম্পা এবং অ্যারন হার্ডি ১টি করে উইকেট পান।
ডেভিড ওয়ার্নারের ইনিংস শেষমেশ অস্ট্রেলিয়ার কোনো কাজে এল না
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর তারা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ওয়ার্নার ৯টি চার এবং ৩টি ছয় সহ ৪৯ বলে ৮১ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক মিচেল মার্শ খুব বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১৩ বলে ১৭ রান করে আউট হন। জশ ইঙ্গলিস ৩ বলে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৪ বলে মাত্র ১২ রান করতে সক্ষম হন। টিম ডেভিড এবং ম্যাথু ওয়েড যথাক্রমে ১৯ বলে ৪১ রান এবং ৭ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। রোমারিও শেফার্ড এবং রোস্টন চেস ২টি করে উইকেট নেন। আকিল হোসেন ১টি উইকেট শিকার করেন। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান আন্দ্রে রাসেল।