নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্ৰথম টেস্ট ম্যাচে ১৭২ রানে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের চতুর্থ দিনে গিয়ে হারের মুখোমুখি হল কিউইরা। এই ম্যাচটিতে জয় পাওয়ার মাধ্যমে চলতি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচের প্ৰথম ইনিংসে ক্যামেরন গ্রিনের ইনিংসের উপর ভর করে ১০ উইকেটে ৩৮৩ রানে পৌঁছেছিল অস্ট্রেলিয়া। গ্রিন ২৭৫ বলে ১৭৪ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ২৩টি চার এবং ৫টি ছয়। এই ইনিংসে মিচেল মার্শ ৩৯ বলে ৪০ রান করেছিলেন। ম্যাট হেনরি বল হাতে খুব ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি ৩০.১ ওভারে ৭০ রান দিয়েছিলেন এবং এর বিনিময়ে ৫টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
নিউজিল্যান্ড প্ৰথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপটে মাত্র ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় টিম সাউদির নেতৃত্বাধীন দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। তিনি ১৩টি চার সহ ৭০ বলে ৭১ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। ম্যাট হেনরি ৩৪ বলে ৪২ রান করতে সক্ষম হন। নাথান লিয়ন ৮.১ ওভারে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন।
নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৬৯ রানের লক্ষ্য রাখতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। মাত্র ১৬৪ রানে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয়ে যায়। নাথান লিয়ন ৪৬ বলে ৪১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ক্যামেরন গ্রিন, ট্র্যাভিস হেড এবং উসমান খোয়াজা যথাক্রমে ৮০ বলে ৩৪ রান, ৩৬ বলে ২৯ রান এবং ৬৯ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। গ্লেন ফিলিপস ১৬ ওভারে মাত্র ৪৫ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র এবং ড্যারিল মিচেল বাদে নিউজিল্যান্ডের আর কোনো ব্যাটার স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। রাচিন ১০৫ বলে ৫৯ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে, মিচেল ১৩০ বলে ৩৮ রান করেন। নাথান লিয়ন বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন। তিনি ২৭ ওভারে মাত্র ৬৫ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট শিকার করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করার মাধ্যমে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন।