আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দায়িত্ব নেওয়ার পর জয়ের হ্যাটট্রিক মোহনবাগানের। ঘরের মাঠে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হেলায় হারিয়ে লিগ টেবিলে নিজেদের জায়গা আরও মজবুত করল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এদিন কার্যত যুবভারতী স্টেডিয়ামে গোলের বন্যা বইয়ে দিল মোহনবাগান। আর তাতেই আপ্লুত সকলে। ৪-২ গোলে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও, ওড়িশার সঙ্গে পয়েন্ট সমান করে ফেলল মোহবনবাগান। এবার তারা শীর্ষস্থানে পৌঁছতে পারে কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেন বদলে গিয়েছে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।
সুপার কাপের হারের পরই আইএসএলের মঞ্চে নেমেছে মোহনবাগান। বিরতির পর মোহনবাগান সিবিরের চেহারাটাই যেন বদলে গিয়েছে। কার্যত আব্তোনিও লোপেজ হাবাসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অনেক বেশী চনমনে মোহনবাগান। তবে ম্যাচের শুরুতেই কিন্তু এদিন খানিকটা চাপে পড়ে গিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসোরা। ৬ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি হাসিল করে নিয়েছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। সেখানেই গোল করতে কোনও ভুল করেননি টমি জুরিচ। পিছিয়ে পড়লেও মোহনবাগান কিন্তু একবারের জন্যও হাল ছাড়েনি।
নর্থইস্টের বিরুদ্ধে তিনটি গোলেরই নেপখ্য কারিগড় জনি কাউকো
বরং গোল হজম করার পর থেকে মোহনবাগানের আক্রমণ ছিল অনেকটা বেশী। বারবারই নর্থইস্টের বক্সে আছড়ে পড়ছিল মোহনহাগানের আক্রমণ। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন তারা। অবশেষে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে জনি কাউকোর বাড়ানো পাস থেকে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক লিস্টন কোলাসো। এরপরই মোহনবাগান আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়াতে থাকে। প্রথমার্ধেরই অতিরিক্ত সময়ে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে মোহনবাগান। এবারও গোলের নেপথ্য কারিগড় সেই জনি কাউকো। তাঁর বাড়ানো পাস থেকেই নর্থইস্টের জালে বল জড়িয়ে দেন জেসন কামিংস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই এবার মোহনবাগানের ফুটবলাররা ছিলেন আরও বিধ্বংসী মেজাজে। যদিও ৫০ মিনিটের মাথাতেই ম্যাচ সমতায় ফিরিয়েছিলেন নর্থইস্ট ইউনাইটেডের টমি জুরিচ। যদিও মোহনবাগানকে আটকে রাখা তাদের পক্ষে বেশীক্ষণ সম্ভব হয়নি। মোহনবাগানের হয়ে একটি গোল যেমন করেছিলেন, তেমনই একটি গোলের নেপথ্য কারিগড়ও ছিলেন জেসন কামিংস। তাঁর বাড়ানো পাসেই দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে ফের এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এরপর আর নর্থইস্ট ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বরং ম্যাচের বয়স যখন ৫৭ মিনিট সেই সময় আবারও জনি কাউকোর একটা সাজানো পাস।
আর সেই বলই জালে জড়াতে ভুল করেননি সাহাল আবদুল সামাদ। সেইসঙ্গেই ৪-২ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এরপর সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড গোলের সংখ্যা বাড়াতে না পারলেও, ম্যাচের রাশ ছিল তাদেরই দখলে। এই ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট তুলে নিয়ে মোহনবাগান যে ওড়িশার ঘাঁড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।