আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে রুখে দিল রয় কৃষ্ণার ওড়িশা এফসি। একসময় আইএসএলের মঞ্চে হাবাসের সাফল্যের প্রধান অস্ত্র ছিলেন রয় কৃষ্ণা। কিন্তু এবাপ পজিশনটা খানিকটা বদলে গিয়েছে। হাবাসের নির্দেশে নয়, তাঁর স্ট্র্যাটেজিকে ব্যর্থ করেই এগোনো ছিল রয় কৃষ্ণার প্রধান লক্ষ্য। হাবাসের রক্ষণ ভেঙে জালে বল জড়াতে তিনি পারেননি ঠিকই। কিন্তু হাবাসের শীর্ষে পৌঁছনোর রাস্তাটা আটকে দিল রয় কৃষ্ণার ওড়িশা এফসি। এদিন কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে গোলির মুখ খুলতে পারেনি কোনও দলই। গোলশূন্য ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল দুই দলকে।
এই ড্রয়ের সঙ্গেই মোহনবাগানের শীর্ষস্থানে পৌঁছমনোর অপেক্ষাটাও খানিকটা বেড়ে গেল। এদিন ওড়িশাকে হারাতে পারলেই আইএসএলের শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ ছিল মোহনবাগানের সামনে। সেইভাবে স্ট্র্যাটেজিটা সাজিয়েওছিলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেনি। ওড়িশার বিরুদ্ধে মোহনহাগান যে সুযোগ পায়নি এমনটা কিন্তু নয়। সেগুলো অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বারবারই ওড়িশার জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয়েছিল মোহনবাগানের তারকা ফুটবলাররা।
৩০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তিন নম্বর স্থানে মোহনবাগান
এজিন মোহনবাগান ফুটবলাররা শুরু দিক থেকে খানিটা আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল। মনবীর সিং, পেত্রাতোসরা বারবারই আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু ওড়িশার রক্ষণের কাছে আটকে যাচ্ছিলেন তারা। শেষ কয়েকটি ম্যাচে হাবাসের তুরুপের তাস চিলেন জনি কাউকো। প্রতিটি ম্যাচে নিজে গোল না করলেও, প্রত্যেকটি গোলের পিছনে অবদান ছিল তাঁরই। কিন্তু সেই জনি কাউকোও কোনওরকম সুবিধা করতে পারেননি। গোল করার মতো পজিশন করলেও, ওড়িশার জালে বল জড়াতে পারেনি কেউই।
ম্যাচে এদিন বারবারই দেখা গিয়েছে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ। প্রতিপক্ষ শিবিরেের রয় কৃষ্ণা যে এদিন মোহনবাগানকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছেড়ে দেবেন না তা বেশ স্পষ্ট ছিল। হয়েছেও তেমনটাই। কিন্তু মোহনবাগান রক্ষণও সেভাবে ভেদ করতে পারেনি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থাতেই। বিরতির পর থেকেই দুই দল ছিল গোল পেতে মরিয়া। মোহনবাগনের আক্রমণ ছিল মুর্হূমুহু। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি হাবাসের ছাত্ররা।
প্রতিপক্ষ শিবির ওড়িশাও অবশ্য ঘরের মাঠে সেভাবে নিজেদের ছাপ ফেলতে ব্যর্থ। শেষপর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থাতেই ম্যাচ শেষ হয়। দুই দলই এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ওড়িশা শীর্ষস্থানেই নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। সেখানেই মোহনবাগান ৩০ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে আইএসএলের মঞ্চে তৃতীয় স্থানে।