রবিবারের সন্ধ্যায় রুদ্ধশ্বাস ম্যানচেস্টার ডার্বি। এতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর ৮ মিনিটের মধ্যেই মার্কাস রাশফোর্ডের অনবদ্য গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেই জায়গা থেকে ৫৬ ও ৮০ মিনিটে জোড়া গোল করে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩ পয়েন্ট উপহার দিলেন ফিল ফোডেন। সেই সঙ্গে রবিবার দলের হয়ে তৃতীয় গোল করে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবের সব আশায় জল ঢেলে দিলেন সিটির অন্যতম তারকা ফুটবলার আর্লিং হালান্ড। পেপ গুয়ার্দিওলার দল ৩-১ জিতে নিল ডার্বি। হালান্ড গোল করেন সংযুক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই।
পাশাপাশি ডার্বির মতোই রুদ্ধশ্বাস আবহাওয়া চলছে এখন ইপিএলে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও লিভারপুলের প্রায় ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পেপ গুয়ার্দিওলার ক্লাব। এতিহাদ স্টেডিয়ামের ক্লাব লিভারপুলের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে। অন্যদিকে য়ুর্গেন ক্লপের শতাব্দী প্রাচীন লিভারপুলের ঝুলিতে ২৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট। ম্যানচেস্টার সিটি সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে সেখানে ৬২ পয়েন্ট। টেবিলে তার ঠিক পরেই অবস্থান করছে আর্সেনাল, যাদের ঝুলিতে ২৬ ম্যাচ খেলে ৫৮ পয়েন্ট। তারপরেই রয়েছে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজের দল অ্যাস্টন ভিলা ও পরবর্তীতে টটেনহ্যাম।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে এদিন অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন বের্নার্দ সিলভা। তার নেতৃত্বেই বেশিরভাগ আক্রমণ সাজিয়েছিল গুয়ার্দিওলার দল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন ফোডেন। তার দুটি গোলই অনবদ্য। সঙ্গে হালাণ্ড ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে ৮৪ ম্যাচ খেলে ৮০ গোল করার নজির করেছেন। শুধু প্রিমিয়ার লিগেই তার ঝুলিতে রয়েছে ৫৭ ম্যাচ খেলে ৫৪ টি গোল। ৫৬ মিনিটে ফোডেন সমতা ফেরালেন বক্সের বাইরে থেকে তাঁর বাঁ পায়ের শটে। প্রথমার্ধের ৭৪ শতাংশ বলের দখল রাখার পরেও গোল করতে ব্যর্থ ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ৮০ মিনিটে। এই গোলটাও বক্সের বাইরে থেকে জালে ঢোকান ফোডেন।
ডার্বি জিতে দলের কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা বিবৃতি দেন, ‘আজকের ম্যাচের সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলো প্রতিটি প্লেয়ারের মনোভাব। একটা অর্থের পুরোটাই পিছিয়ে থেকেও ওরা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছে। আমরা কিন্তু প্রথমার্ধেই বেশি ভালো খেলেছি।’
এর পাশাপাশি তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ফোডেনকে নিয়েও। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘ এই ছেলেটা অবিশ্বাস্য প্রতিভার অধিকারী। নিজেও জানেনা ও কোথায় গিয়ে থামবে। আমি তো বলব ওর অসাধারণ ফুটবল ইংল্যান্ডকেও আগামী দিনের দারুণ জায়গায় নিয়ে যাবে। মনে রাখবেন একজন তখনই বিশ্বমানের ফুটবলার হয়ে ওঠে যখন সে দলকে গোল করে জেতায়। আমি আর এর বেশি ওকে নিয়ে কি বলতে পারি?!’ খেতাবের দৌড়ে এভাবেই নিজেদের লক্ষ্যঃ স্থির রাখলো ম্যানচেস্টার সিটি।