ডার্বি নিয়ে শুধু বাংলা নয়, এই মুহূর্তে নজর রয়েছে গোটা ভারতীয় ফুটবল মহলেই। কিন্তু ডার্বি আয়োজনের তারিখ নিয়ে যে বিপুল জটিলতা তৈরী হয়েছে, তা খুলতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে ফুটবল মহলকে। তবে আশা করা হচ্ছে যে আজকের মধ্যেই জট খুলে যাবে ও সরকারিভাবে ঘোষণাও হয়ে যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত ডার্বি অন্য রাজ্যে চলে যেতে পারে বলেই আগাম পূর্বাভাস। নাম ভাসছে ভুবনেশ্বর এবং জামশেদপুরের।
বহু আগেই ১০ই মার্চ ডার্বির দিন ঘোষণা করা হয়েছিল এফএসডিএলের তরফে। পুলিশের পক্ষ থেকে ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। ফলে ১০ই মার্চ ব্রিগেড থাকলেও সেদিন রাতেই ডার্বি করা নিয়ে কোন সংশয় থাকার কথা ছিল না। কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয় তিন দিন আগে থেকে। এই ম্যাচের আয়োজক ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় ব্রিগেডের দিন ডার্বি আয়োজন করা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ফলে অন্য কোনদিন করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে বলা হয়। হোম ম্যাচের আয়োজক হিসেবে ইস্টবেঙ্গল ডার্বির আয়োজন করবে ঠিক থাকলেও আইএসএলের পুরো ক্রীড়া সূচিটা যেহেতু এফএসডিএল নিয়ন্ত্রণ করে, তাই এফএসডিএল এর সঙ্গে কথা না বলে ম্যাচের দিন পরিবর্তনও সম্ভব নয়।
ফলে প্রতি মুহূর্তে এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কারণ শুধু ম্যাচের দিন পরিবর্তন নয়, এর পাশাপাশি টিভিতে ম্যাচ সম্প্রচারের বিষয়টিও জড়িত রয়েছে।
পুলিশের তরফ থেকে প্রথমে প্রস্তাব দেয়া হয় ডার্বির দিন পরিবর্তন করে যদি ১১ই মার্চ আয়োজিত হয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে প্রস্তাব চায় মোহনবাগান তাঁবুতেও। মোহনবাগান স্পষ্ট তো জানিয়ে দেয় ১১ই মার্চ তাদের খেলতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু ১৩ই মার্চ অ্যাওয়ে ম্যাচের দিনে এফএসডিএলকে পরিবর্তন করতে হবে। এফএসডিএল অবশ্য মোহনবাগানের অ্যাওয়ে ম্যাচের দিন পরিবর্তন করতে কোনভাবেই রাজি হয়নি। তারা ইস্টবেঙ্গলকে প্রস্তাব দিয়েছে ডার্বি ম্যাচ সপ্তাহের শেষে ছুটির দিনেই আয়োজন করতে। এতে প্রচুর দর্শক মাঠে যাওয়ার পাশাপাশি টিভিতেও খেলাটি দেখতে পারবেন। সপ্তাহ শেষে ম্যাচ হলে আর্থিকভাবেও লাভবান হবে ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতিতে ঠিক হয় তাহলে ৯ই মার্চ শনিবার অথবা ১০ই মার্চ আইএসএল কর্তৃপক্ষের কাছে ম্যাচটি করার অনুরোধ জানানো হয়। পুলিশ অবশ্য ১০ই মার্চের মত ৯ই মার্চও ম্যাচ আয়োজনে আপত্তি জানিয়েছে। তবে ম্যাচ যদি ৯ই মার্চ হয় তাহলে সেদিন ৭:৩০টার চেন্নাই ম্যাচের সময় বদলে আগে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোন দিকে ওই জটিলতার মোড় ঘোরে সেটাই এবার দেখার।