১০ই ফেব্রুয়ারি, শনিবার, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ তিনটি টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই দলে জায়গা করে নিয়েছেন প্রতিভাবান পেসার আকাশ দীপ। রাজকোটে ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা টেস্ট ম্যাচে প্ৰথম একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন বাংলার এই পেসার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করার মাধ্যমে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন আকাশ দীপ। প্ৰথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৭ বছর বয়সী এই বোলারের রেকর্ড খুবই ভালো। প্ৰথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি এখনও পর্যন্ত ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ২৩.১৮ গড়ের সাথে ১০০টিরও বেশি উইকেট শিকার করেছেন। গত মাসে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি আনঅফিসিয়াল টেস্ট ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন আকাশ দীপ। তাঁর এই পারফরম্যান্সই নির্বাচকদের নজর কেড়েছিল।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ তিনটি টেস্ট ম্যাচের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর আকাশ দীপ নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য থেকে একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তাঁর স্বপ্ন পূরণের রাস্তাটি সহজ ছিল না।
একটি বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থাকে আকাশ দীপ বলেন, "ছয় মাসের মধ্যে আমার বাবা ও ভাই মারা গিয়েছিলেন। আমার হারানোর কিছু ছিল না এবং অনুপ্রেরণা ছিল যে আমাকে পরিবারের যত্ন নিতে হবে। আমি আমার ক্লাবের জন্য লেদার-বল ম্যাচ খেলতাম, কিন্তু শুরুতে কোনো টাকা পেতাম না। তাই মাসে তিন থেকে চার দিন, আমি জেলার আশেপাশে টেনিস-বল ম্যাচ খেলতাম এবং প্রতিদিন ৬,০০০ টাকা আয় করতাম। সুতরাং, আমি প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা উপার্জন করতাম, যা আমাকে আমার খরচ চালাতে সাহায্য করত।"
"সেখানে ক্রিকেট খেলা ছিল অপরাধ" - আকাশ দীপ
ক্রিকেটের দিক দিয়ে বিহার তেমন নামকরা নয়। আকাশ দীপ বলেছেন যে সেখানে ক্রিকেট খেলাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হত। যাইহোক, আকাশ দীপকে ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে দেখে সেখানকার তরুণ ক্রিকেটাররা অবশ্যই অনুপ্রাণিত হবেন।
এই প্রতিভাবান ভারতীয় পেসার বলেন, "বিহারে কোনো সুযোগ ছিল না এবং বিশেষ করে আমি যে জায়গা থেকে এসেছিলাম, সাসারাম, সেখানে ক্রিকেট খেলা ছিল অপরাধ। অনেক অভিভাবকরাই তাদের সন্তানদের আকাশের সাথে মিশতে বারণ করতেন কারণ সে শুধু ক্রিকেট খেলে এবং এর জন্য পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু আমি তাদের দোষ দিই না। এরকম একটি জায়গায় ক্রিকেট খেলে আপনি কি অর্জন করতে পারতেন?"