প্রথম দুই টেস্টে সেভাবে দেখা না গেলেও মনে করা হচ্ছে তৃতীয় টেস্ট থেকেই টার্নিং পিচ করতে চলেছে ভারতীয় দল। অন্তত ম্যাচে নামার আগে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতীয় দলের তারকা স্পিনার কুলদীপ যাদব। ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই কুলদীপ যাদব জানিয়েছেন যে এই ম্যাচের পিচ থেকে নাকি স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে চলেছে। আর সেই কথা শোনার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানান হিসাব নিকাশ। শেষপর্যন্ত ১৫ ফেব্রুয়ারী কেমন পিচ দেখা যায় সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।
রাজকোটের পিচ বরাবরাই খানিকটা ফ্ল্যাট ধরণের হয়ে থাকে। পিচের প্রকৃতি স্লো এবং টার্নিং হলেও, কখনোই র্যাঙ্ক টার্নার হতে দেখা যায়নি সেই পিচ। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে এগিয়ে যেতে ভারতীয় দল সেই রাস্তাতেই এগিয়ে যায় কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পিচে স্পিনাররা বেশ সুবিধা পেতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। ঘরের মাটিতে বরাবরই স্পিনই ভারতের অন্যতম প্রধান শক্তি। এবারও যে সেটাই করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া তা বেশ স্পষ্ট। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
কুলদীপ যাদবের কথায় রাজকোটের পিচ নিয়ে গুঞ্জন শুরু
ম্যাচের আগের দিন কুলদীপ যাদবের কথা থেকে সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে। ভারতের পাশাপাশি অবশ্য এবার ইংল্যান্ড শিবিরেও স্পিনারদের আধিক্য রয়েছে। প্রথম টেস্টেই সেই ঝলক দেখা গিয়েছিল। সেখানে জো রুট পর্যন্ত উইকেট তুলে নিতে পেরেছিলেন। সেই কথা ভেবে ভারতীয় দল অতিরিক্ত টার্নিং উইকেটের দিকে যাবে কিনা সেটা তো ম্যাচের দিন সকালেই বোঝা যাবে। ম্যাচ শুরু হওয়ার ২৪ ঘন্টা আগে থেকেই আরম্ভ হয়ে গিয়েছে নানান জল্পনা।
ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন কুলদীপ যাদব। পিচ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, "এই পিচ একেবারেই র্যাঙ্ক টার্নার হবে না। কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি যে পিচ যথেষ্ট ভাল হবে। আমি আশাবাদী যে স্পিনারই খেলুক না কেন তিনি এই পিচে বেশ সুবিধা পাবেন। এই মুহূর্তে আমি সব গোপনীয় কথা বাইরে যেতে দিতে পারি না। এখন এখনও পর্যন্ত মাঠে বেশ খানিকটা ঘাস রয়েছে। আমি মনে করছি যে পিচ যথেষ্ট ভাল হতে চলেছে"।
এই মুহূর্তে সিরিজের ফলাফল ১-১। এই ম্যাচেই ফিরতে চলেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। অশ্বিন, কুলদীপ এবং জাদেজাকে একসঙ্গে খেলালে যে, সেখানে স্পিনের আধিক্য থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।