তাওহীদ-লিটন ঝড়ে ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করলো কুমিল্লা। এদিন ম্যাচের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তারাই। বিদেশী তারকারাও যাদের দাপটে ফিকে।
দুর্দান্ত এক ইনিংসে রংপুর রাইডার্সের দুর্গ একাই সামালালেন জিমি নিশাম। তিনিই দলের বেশ কিছুটা সংগ্রহ রানের ঝুলিতে নিয়ে আসেন। তবে বল হাতে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি এই কিউই অলরাউন্ডার। একই চিত্র অন্যান্য বোলারদের। এমনি নিষ্প্রভ ও ম্রিয়মান দিনে সব আলো কেড়ে নিলেন তাওহীদ হৃদয় ও লিটন দাস। এই দুজনের অনবদ্য পারফরমেন্সে লড়াইটা খানিক একপেশে হয়ে যায়। তাঁদের অর্ধ শতরানের উপর ভরসা রেখেই রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নিল গত বছরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টরিয়ানস।
বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর ১৮৫ রানের টার্গেট দেয়। যা কুমিল্লা ৯ বল বাকি থাকতেই অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাঁদের মাত্র ৪টি উইকেট সেক্ষেত্রে হারাতে হয়।
আগামী বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বরিশালের বিপক্ষে খেলতে নামছে রংপুর। এই ম্যাচের বিজয়ী দল পৌঁছে যাবে ফাইনালে। মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের।
যদিও বল হাতে শুরুটা ভালই করেছিল রংপুর। নিজের প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেটের দেখা পেয়ে যান ফজল হক ফারুকী। ব্যাটের উপরের কানায় লেগে বল আকাশে তুলে দেন সুনীল নারিন। ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন নুরুল হাসান সোহান। তবে এই সাফল্য বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারেনি রংপুরের বোলাররা। প্রথম চার ওভারে সেভাবে রান আসেনি কুমিল্লার। কিন্তু পরবর্তীতে হাসান মাহমুদের এক ওভারে ম্যাচের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দেন তাওহীদ। একটি ছক্কার পাশাপাশি চারটি চারের মাধ্যমে এক ওভারে ২২টি মূল্যবান রান তুলে নেন। সেই শুরু, অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক লিটন দাস দাঁড়িয়ে থাকেন দর্শকের ভূমিকায়। বোলারদের প্রবল বিক্রমে শাসন করতে থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে এই ম্যাচের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোর তাওহীদ মাত্র ৩১ বলে নিজের অর্ধশতরান সম্পন্ন করেন। লিটনের ইনিংস সেই তুলনায় ছিল কিছুটা ধীর গতির। এক সময় ৩০ বলে মাত্র ৩৪ রান তোলেন। তবে তারপরেই আক্রমনাত্মক মেজাজে দেখা যায় কুমিল্লার অধিনায়ককে। তিনি নিশামের এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হাকান। সাবলীল ব্যাটিংয়ে তাওহীদ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাতে আসন্ন সেঞ্চুরি খুব একটা দেরি নয় বলেই মনে হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানে উইকেট হারান তিনি।
অন্যদিকে রংপুরের কাজটা বেশ কঠিন ছিল। দুই ওপেনার শামীম হোসেন ও রনি তালুকদার দুজনেই ব্যর্থ হন। শাকিব আল হাসানও অল্প রান করেই ফেরেন। এই সময় কিছুটা জ্বলে ওঠেন নিশাম। কুমিল্লার বোলারদের বিপক্ষে একাই লড়ে যান। শেষপর্যন্ত ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।