সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। কিন্তু পরের দুই টেস্টের দুরন্ত দুই ইনিংসে সব সমালোচনার জবাব দিলেন শুভমান গিল। বিশাখাপত্তনমের মাঠে ১০৪ রানের ইনিংস ও রাজকোটের ৯১কে কী সব সমালোচনার জবাব হিসাবে দেখছেন টিম ইন্ডিয়ার এই তরুণ তারকা? শুভমানকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর আসবে ব্যাপারটা আদপেই তা নয়। কারণ বাইরে থেকে কে কি বলল সেই গোটা বিষয়টিকে একেবারেই পাত্তা-টাত্তা দেন না তিনি। বরং নিজের জন্য নিজেই যে লক্ষ্যঃ স্থির করেন, সেটা পূরণ করাই একমাত্র লক্ষ্যঃ তরুণ এই ব্যাটারের।
বুধবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে পৌঁছয় টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই ভারতীয় দলের অনুশীলন শুরুর ঠিক আগে সাংবাদিক বৈঠকে আসেন শুভমান গিল। সেখানেই তিনি বলেন, ‘প্রথম টেস্টে দেখা যাবে আমাদের অনেক ব্যাটসম্যান এর ক্ষেত্রে শুরুটা খুবই ভালো হয়েছিল। অনেকেই ৫০টা বল খেলেছে। কেউ কেউ ৮০-৯০ রান করতেও সক্ষম হয়েছে। সবার সামনেই সুযোগ ছিল বড় রানের লক্ষ্য অর্জন করার। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সেটা কেউই বিশেষভাবে করে উঠতে পারেনি।’
তারপরেই নাকি দলের তরফে ব্যাটসম্যানদের একটি বার্তা দেওয়া হয়। যেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়, ‘ উইকেটে জমে গেলে বড় রান অবশ্যই করে আসতে হবে। কমপক্ষে ১৫০-২০০। তাহলে সেটা দলেরই কাজে আসবে।’ তারপরেই তার মুখে আক্ষেপ শোনা যায়। চলতি সিরিজে তার ব্যাটে একটি শতরান ও একটি ৯০ রানের ইনিংস এসেছে। কিন্তু নিজেকে নিয়ে যে প্রত্যাশা তিনি করেছিলেন সেটা তার পূরণ হয়নি। প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যানের কথায়, ‘ নিজেকে নিয়ে প্রত্যেকের একটা প্রত্যাশা থাকে সেটা পূরণ করা বেশ কঠিন। বাইরে থেকে লোকে কি বলছে সেটার তেমন কোন প্রভাব আমার জীবনে পড়ে না। কিন্তু নিজের প্রতি নিজের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণে ব্যর্থ হলে হতাশ লাগে। দলের জন্য দেশের জন্য খেলা নিয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ভাবনা থাকে। সেটা আমার মনোভাব কখনো বদল করেনি। এখনো আমি নিজের উপর একই রকম প্রত্যাশা রাখি।’ তবে তার মতে সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে এই ব্যর্থতা আঁকড়ে পড়ে না থেকে পরবর্তী লড়াইয়ে প্রকাশ করাটাই মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। দলের স্বার্থে তিন বা চার নম্বরে ব্যাট করার ক্ষেত্রেও আপত্তি নেই এই তরুণ তারকার। এর পাশাপাশি ভারতের স্পিন সহায়ক উইকেটে টিমের পেসাররা যেভাবে পারফর্ম করছে, তারও প্রশংসা শোনা যায় শুভমান গিলের মুখে।