রঞ্জিতে ফিরতে চলেছেন শ্রেয়স আইয়ার, অভিনব কীর্তি তনুশ-তুষারের

গত কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটে প্রবল জল্পনা চলছে কিছু ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিছুদিন আগেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে প্রত্যেকটি ক্রিকেটারের রঞ্জি খেলা বাধ্যতামূলক। শ্রেয়স অবশ্য সম্প্রতি রঞ্জি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোয়াটার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড ছিল মুম্বাইয়ের। সেই সুবাদে সেমিতে পৌঁছে যায় তাঁদের দল। সেখানে শ্রেয়স খেলবেন বলেই সূত্র মারফত খবর।

author-image
Manoj Kumar
New Update
shreyas-iyer-practice (Source: X)

shreyas-iyer-practice (Source: X)

গত কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটে প্রবল জল্পনা চলছে কিছু ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিছুদিন আগেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে প্রত্যেকটি ক্রিকেটারের রঞ্জি খেলা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বোর্ডের তরফে এখানে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেও ঈশান কিষাণ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন। শ্রেয়স আইয়ার মুম্বাইয়ের হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি দাবী করেছিলেন, তাঁর সেইসময় চোট রয়েছে। যদিও রাঁচিতে টেস্ট জয়ের পর ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্পষ্ট করে কিছু বার্তা দেন। তিনি নাম করে বলেন, যাদের মধ্যে দেশের হয়ে খেলার খিদে রয়েছে, তাদেরই শুধু খেলানো হবে। এক্ষেত্রে রোহিত কারো নাম না উল্লেখ করলেও বোঝাই যাচ্ছিল ঈশানের উদ্দেশ্যে বার্তা দিচ্ছেন তিনি। শ্রেয়স অবশ্য সম্প্রতি রঞ্জি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোয়াটার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড ছিল মুম্বাইয়ের। সেই সুবাদে সেমিতে পৌঁছে যায় তাঁদের দল। সেখানে শ্রেয়স খেলবেন বলেই সূত্র মারফত খবর। মুম্বাই যে সেমি ফাইনাল পৌঁছবেশি তা কার্যত বোঝাই যাচ্ছিলো। কিন্তু তুষার দেশপান্ডে আর তানুশ কোটিয়ান মিলিতভাবে ঘটিয়ে ফেলেছেন অভাবনীয় কান্ড। দশম উইকেটে দাঁড়িয়ে দুজনে মিলে ২৩২ রানের অবিশ্বাস্য পার্টনারশিপ করেন। মুম্বাইকে নিয়ে গেলেন ৫৬৯ রানে। বরোদার সামনের লক্ষ্য ছিল ৬০৬ রানের। ম্যাচ ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে সেমিফাইনালে মুম্বাই পৌঁছে যায়। যদিও সেদিন ব্যাট করতে নেমে কখনোই উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করেননি তনুশ ও তুষার। দ্রুত রাম তোলার চেষ্টা করতে থাকেন তারা। বড় শটও আসতে থাকে তাঁদের ব্যাট থেকে। তনুশ প্রথমে শতরান সম্পন্ন করেন। তারপরে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান তুষার দেশপান্ডে।

১২৯ বলে ১২৩ রান করে আউট হন তুষার। ১০টি চার ও আটটি ওভার বাউন্ডারি ছিল তাঁর এই গোটা ইনিংসে। অন্যদিকে তনুশ করেন ১২৯ বলে ১২০ রান। তিনি ম্যাচের শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসেও ছিল ১০টি চার ও ৪টি অনবদ্য ছয় রান।

রঞ্জিতে প্রথমবার হলেও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এই ঘটনা আগেও একবার ঘটেছে। ১৯৪৬ সালে ওভালে সারে বনাম ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ চলাকালীন চাঁদু সরওয়াটে ও শুঁটে বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ ও ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে শতরান জুড়ে দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে মুম্বাইয়ের হয়ে দলে ফিরছেন শ্রেয়স। চোট সারিয়ে দলে ফিরছেন তিনি। এর পাশাপাশি ৯১ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে চলেছেন ঈশান কিষাণ। ডি ওয়াই পাতিল টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় খেলছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে দলের হয়ে ১১ বলে ১৯ রান করেন। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেললেও কর্পোরেট প্রতিযোগিতায় ফিরেছেন ঈশান। এতে তার শাস্তি মাফ হয় কিনা এবার সেটাই দেখার।

Sports News