শোয়েব বনাম অশ্বিন, স্পিন সামলে লড়াইয়ে ফিরতে মরিয়া ভারত

একজনের বয়স ৩৭, অন্যজনের ২০। একজন ভারতীয়, অন্যজন জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হলেও ব্রিটিশ জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। একজন দলকে জয়ের বেশ কাছে নিয়ে এসেছেন। অন্যজনের দায়িত্ব থাকবে প্রতিপক্ষ ব্যাটিংকে দুর্মুষ করে সিরিজ ২-২ করা। প্রথম জন কিংবদন্তী স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয়জন শোয়েব বশির।

author-image
Manoj Kumar
New Update
IND vs ENG

England Spin (Source: X)

একজনের বয়স ৩৭, অন্যজনের ২০। একজন ভারতীয়, অন্যজন জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হলেও ব্রিটিশ জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। একজন দলকে জয়ের বেশ কাছে নিয়ে এসেছেন। অন্যজনের দায়িত্ব থাকবে প্রতিপক্ষ ব্যাটিংকে দুর্মুষ করে সিরিজ ২-২ করা। প্রথম জন কিংবদন্তী স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয়জন শোয়েব বশির। রবিবাসরীয় সকালে রোহিত শর্মা ভরসা রেখেছিলেন রবিনচন্দ্র অশ্বিনের স্পিনে। দিনের শুরুতেই বল হাতে তুলে দিয়েছিলেন। বর্ষিয়ান অফস্পিনার জো রুট-সহ ইংল্যান্ডের দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নিয়ে সেই আস্থার মর্যাদা রাখেন। পরবর্তীতে তাঁর ঝুলিতে যুক্ত হয় আরও ২ উইকেট।

 খেলার শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের হয়ে মুখ খোলেন অশ্বিন। নতুন বলে বল করার অভিজ্ঞতা কি রকম, এই বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, ‘ নতুন বলে বল করাটা সবসময়ই উপভোগ করেছি। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও সেই দায়িত্ব নিতে তৈরি ছিলাম।’ কোনো পরিবর্তন কী করেছিলেন বোলিং স্টাইলে। তাঁর সপাট জবাব, ‘ এক্ষেত্রে মূলত একটু বেশি গতিতে বল করেছি। পিচে এক্ষেত্রে সেরকম গতি ছিল না। তাই জোরে বল করে পিচের উপর বলটা ঠুকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছি।’ এদিন অশ্বিনের ক্যারম বল প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে তিনি বলেন, ‘ আমার হাঁটু একটু সমস্যা করছিল। ছন্দে আসতে সেক্ষেত্রে একটু বেশিই সময় লেগে যাচ্ছিল। আমরা যেহেতু পরে ব্যাট করব তাই ওদের বেশি রান কখনোই দিতে চাইনি।’ এই ম্যাচে তাঁর ক্যারম বলের শিকার হন ইংল্যান্ডের উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান বেন ফোকস। সর্বমোট ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন অভিজ্ঞ এই স্পিনার।

 উল্টোদিকে তার পাশাপাশি যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছে তিনি হলেন ইংল্যান্ডের যুব তারকা শোয়েব বশির। ভারতের বিরুদ্ধে তারও সংগ্রহ পাঁচ উইকেট। ইংল্যান্ডের পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত স্পিনার এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেন, ‘ দু বছর আগেও আমি কখনো ভাবতে পারতাম না এরকম কিছু ঘটবে আমার সঙ্গে। আজ এই ঘটনায় যথেষ্টই অভিভূত।’ তারপর তিনি কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে নিজের ঠাকুরদার কথা স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, ‘বছর দেড়েক আগে ঠাকুরদাকে হারিয়েছি। ঠাকুরদা টিভির সামনে বসে টেস্ট ম্যাচ দেখতেন। খুব করে মন থেকে চেয়েছিলেন আমাকেও যেন একদিন তিনি টিভিতে দেখতে পান।’ অশ্বিনে সাথে তাঁর এই মুখোমুখি ফেসঅফ প্রসঙ্গও এদিন আলোচনায় উত্থাপিত হয়। তরুণ অফস্পিনার বলেন, ‘ আমাদের মধ্যে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। খুব অল্প বয়স থেকে আমি অশ্বিনকে দেখছি। তবু আমি বলবো, আমাদের এখনো নায়ক হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’ ভারতের জয়ের জন্য তৃতীয় দিনের শেষে প্রয়োজন ১৫২ রান। এই পরিস্থিতিতে দুই স্পিনারের মুখোমুখি লড়াইতে কে বাজিমাত করে সেটাই এবার দেখার।

 

Sports News