বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতে নাম না থাকায়, আশা করা হয়েছিল ব্যাট হাতে যাবতীয় জবাব তিনি দেবেন বাইশ গজের মঞ্চে। কিন্তু তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনালে ব্যর্থ হলেন শ্রেয়স আইয়ার। ৮ বলে স্কোরবোর্ডে যোগ করলেন মাত্র তিন রান। সন্দীপ ওয়ারিয়রের বলে আউট হলেন। অন্যদিকে শ্রেয়সের এহেন ব্যর্থতার দিনেই মুম্বাইয়ের আকাশে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে উঠলেন ভারতীয় টি-টোয়েন্টি লিগে কলকাতার নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার শার্দুল ঠাকুর। শুধু তিনি নন, দশ নম্বর ব্যাটসম্যান তনুশ কোটিয়ানও ব্যাট হাতে অবদান রাখতে ভুললেন না। ১৩টি চার ও চারটি অনবদ্য ছক্কার সৌজন্যে ব্যাট হাতে শার্দুল করলেন ১০৪ বলে ১০৯ রান। শতরানে পৌঁছে যান এস অজিতকে ছক্কা মেরে। তারপর এই মাতেন অভিনব উৎসবে। হেলমেট খুলে ছুটে গিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছোঁড়েন। সেখানেই না থেমে আঙুল তুলে নির্দেশ করেন ডাগ আউটের দিকে। যে ইঙ্গিতে নির্বাচকদের দিকেই হয়তো জবাব ছুঁড়ে দিলেন এই অলরাউন্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পর জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন তিনি। ঘরের মাঠে সুযোগ পাননি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও।
একমাত্র মুশির খান ছাড়া উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা এদিন সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। মুশির স্কোরবোর্ডে ৫৫ রান যোগ করেন। একটা সময় ১০৬ রানের ৭ উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট নড়বড়ে দেখিয়েছিল মুম্বাইকে। সেখান থেকে অষ্টম উইকেটে হার্দিক তামোরেকে সঙ্গে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদসীমার বাইরে নিয়ে যান শার্দুল। তনুশের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। শেষপর্যন্ত মুম্বাই ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রান তোলে। তামিলনাড়ুর হয়ে ৬ উইকেট নেন অধিনায়ক সাই কিশোর।
তবে সেঞ্চুরি করেই রঞ্জির সুচি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, সেঞ্চুরি করলেও জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টা নিয়ে খুব একটা ভাবিত নন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘ আমি মনে করি এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসাটা সবচেয়ে কঠিন কাজ। তার উপর সামনেই রয়েছে ইন্ডিয়ান টি২০ লিগ। তবে আমি সেসব নিয়ে একেবারেই ভাবিত নই। দলের জন্য সেঞ্চুরি পাওয়াটা আমার কাছে খুবই বড় স্বস্তির বিষয়। এটি সামগ্রিকভাবে গোটা দলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রঞ্জির সূচি কিন্তু ক্রমশ ঠাসা হচ্ছে। যদি এভাবে গোটা বিষয়টা চলতে থাকে তাহলে গোটা দেশেই চোট পাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।’