উইকেট নিয়ে রোনাল্ডোর অনুকরণে উদযাপন করলেন শহিদুল ইসলাম

ফরচুন বরিশালকে পরাজিত করে ম্যাচ জিতলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৪৫ রানের তুলনামূলক কম লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিতে নিয়েও জয়ী চট্টগ্রাম।

author-image
Manoj Kumar
New Update
BPL

Shahidul Islam in BPL

ফরচুন বরিশালকে পরাজিত করে ম্যাচ জিতলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৪৫ রানের তুলনামূলক কম লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিতে নিয়েও জয়ী চট্টগ্রাম। কার্যত দাঁড়াতেই পারলো না তামিমের দল। যদিও এই জয় বড় ভূমিকা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রামের পেশার শহিদুল ইসলাম। তিন উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে সাহায্য করলেন এই পেসার। তামিম ইকবাল যতক্ষণ উইকেটে টিকেছিলেন, ততক্ষণ ম্যাচের মধ্যে ছিল বরিশাল। তবে তামিমের উইকেট পড়ে যাওয়ায় বরিশালকে কার্যত বিপদের মুখে ফেলে দেন শহিদুল। এরপরে তিনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেটও তুলে নিতে সক্ষম হন।

এর পরবর্তীতেই আসে চমক। তিনি উইকেট নিয়ে রোনাল্ডোর অনুকরণে উদযাপন করেন। বাংলাদেশের এই পেসার উদযাপন প্রসঙ্গে বলেন, ‘ আমার রোনাল্ডোকে ভালো লাগে। সেই কারণেই এভাবে উদযাপন করার চেষ্টা করেছি।’ তিনি সহাস্যে ‘সিউউউউ’ উদযাপন প্রসঙ্গে আরো যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় না রোনাল্ডোর উদযাপনের সঠিক অনুকরণটি আমি করতে পেরেছি। তাঁর স্টাইল আরো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে।’

যদিও পরবর্তীতে তিনি যোগ করেছেন যে, তিনি একজন আর্জেন্টিনা ফ্যান। তিনি গত ফুটবল বিশ্বকাপে মেসিকে সমর্থন করেছেন বলে দাবী করেন। তিনি বলেন, ‘আমার সর্বদাই মেসিকে ভালো লাগে। আমি আর্জেন্টিনার ভক্ত। তবে মেসির উদযাপনের স্টাইল আমার মনে নেই (হাসি)।’

অন্যদিকে ম্যাচ হেরে যথেষ্টই চাপের মুখে রয়েছে ফরচুন বরিশাল। তাঁদের ড্রেসিংরুমের চেহারাটাও বেশ থমথমে। মূলত দলটার ধীর গতির ব্যাটিংই পরাজয়ের কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাবুল এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ‘ আমার মনে হয় তামিম যতক্ষণ মাঠে ছিল, ততক্ষণ আমরাও ম্যাচে ছিলাম। তবে কোনো পরিস্থিতিতেই স্বাভাবিক ব্যাটিংটা করা যাচ্ছিল না। কিছু ক্ষেত্রে পিচে আজ অতিরিক্ত বাউন্স লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। ফলে বহু ক্ষেত্রেই ব্যাটাররা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা সাছন্দ্যপূর্ণভাবে খেলতে ব্যর্থ হচ্ছিলো। যদিও শুরুতে ১৪৬ রানের টার্গেটকে খুব সহজ মনে হয়েছিল।’

যদিও দেখা যায় এক্ষেত্রে তামিম ইকবালের স্ট্রাইক রেট খুব একটা ভালো ছিল না। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলেও তিনি ৪৬ বলে ৪৯ রান সম্পূর্ণ করেন। তার পরবর্তী সময় দলের আরো অন্য কোনও খেলোয়াড় সেভাবে ২২গজে টিকে থাকতে পারেনি। সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনেই শূন্য রানে আউট হন। অন্যদিকে মুশফিকুর রহিম ১৩ বল খেলে মাত্র ৯ রান করেন। শোয়েব মালিকও মাত্র ১৪রানে ব্যর্থ হন। কার্যত বলাই যায় অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেও শেষ হাসি হাসলো চট্টগ্রামই।





Sports News