কাশ্মীরের রাস্তায় ব্যাট হাতে সচিন, ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

ভারতীয় কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকার কাশ্মীর ভ্রমণে বেড়িয়েছেন। সেখানে গিয়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে একাত্ম হতে দেখা গেছে তাঁকে। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের উরি এলাকায় ভ্রমণ করেছেন। পাশাপাশি ঘুরে দেখেছেন আমান সেতু। আমান সেতুর পার্শ্ববর্তী পোস্টে সৈন্যদের কামানগুলিও তিনি পরিদর্শন করেন।

author-image
Manoj Kumar
New Update
Sachin Tendulkar Playing Cricket in Kashmir (Source: X)

Sachin Tendulkar Playing Cricket in Kashmir (Source: X)

কাশ্মীরের গুলমার্গের রাস্তায় ক্রিকেটে মজেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভারতীয় কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকার কাশ্মীর ভ্রমণে বেড়িয়েছেন। সেখানে গিয়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে একাত্ম হতে দেখা গেছে তাঁকে। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের উরি এলাকায় ভ্রমণ করেছেন। পাশাপাশি ঘুরে দেখেছেন আমান সেতু। আমান সেতুর পার্শ্ববর্তী পোস্টে সৈন্যদের কামানগুলিও তিনি পরিদর্শন করেন।

এর পাশাপাশি তিনি যেহেতু ক্রিকেটিয় কিংবদন্তী, ভূস্বর্গে এসেও ক্রিকেট পিছু ছাড়েনি তার। ক্রিকেটের অন্যতম সরঞ্জাম ব্যাট ছাড়াও বহু জিনিসের উৎপাদন স্থল এই কাশ্মীর। তিনি এই ভ্রমণের পাশাপাশি কাশ্মীরি উইলোগুলিও পরিদর্শন করেন। কাশ্মীর অঞ্চলে বহু উইলো কাঠের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। যা তাদের গুণমানের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। দেশের বিভিন্ন প্রদেশে রপ্তানির পাশাপাশি সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই উইলোগুলি ভূস্বর্গ থেকে রপ্তানি করা হয়। সেই উইলোর কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন এই কিংবদন্তী। তিনি স্মরণ করেছেন, যে তার বোন তাকে প্রথম যে ব্যাটটি দিয়েছিল তা ছিল কাশ্মীরি উইলো কাঠের তৈরী। তিনি নিজের টুইটারে গুলমার্গের এমজে স্পোর্টসের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে তাকে গোটা কারখানাটি ঘুরে পরিদর্শন করতে দেখা যায়। মালিকের সাথে দীর্ঘ আলাপচারিতায় অংশ নেন মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি জীবনে পাওয়া প্রথম ব্যাট প্রসঙ্গে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, ‘এখন যেহেতু আমি কাশ্মীরে এসেছি, তো অবশ্যই একবার কাশ্মীরি উইলো ঘুরে দেখা উচিত বলে মনে করি।’

এমজে স্পোর্টসের মালিক মহম্মদ শাহীন প্যারে যথেষ্টই আপ্লুত মাস্টার ব্লাস্টারকে সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করে। তিনি বলেন, গোটা অভিজ্ঞতাটাই তাঁর কাছে একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল। এর পাশাপাশি সচিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কাশ্মীরি উইলোকে আরো উন্নতিসাধনের বিষয়ে।

মহম্মদ শাহীন নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা ব্যাট তৈরিতে ব্যস্ত ছিলাম। তখন হঠাৎই একটি গাড়ি আমাদের গেটের সামনে থামল। অপ্রত্যাশিতভাবে গাড়ি থেকে নেমে এলেন লিটিল মাস্টার এবং তার পরিবার। আমরা তাকে এখানে পেয়ে সত্যিই অভিভূত।’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, সচিন কাশ্মীরি উইলো ও ইংলিশ উইলোর মধ্যে তুলনাও করেছেন। তাঁরা সচিনকে অনুরোধ করেন স্থানীয় ব্যাটের প্রচারের জন্য। যে বিষয়ে সচিন নিশ্চয়তা দিয়েছেন, এই গোটা বিষয়টি চিন্তা করে দেখার। তার পরবর্তীতেই কাশ্মীরি উইলো হাতে ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর নেমে পড়েন রাস্তায়। মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই তারই পদক্ষেপ মন জয় করে ফেলেছে হাজারো কাশ্মীরবাসীর। 

 

Sports News