গত কয়েকদিনে বারবার সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে ঈশান কিষাণ ও শ্রেয়স আইয়ারের নাম। কিন্তু আদতেই কখনো তা ভালো খেলে নয়, তাঁদের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে আসার মূল কারণ হিসাবে উঠে এসেছে বোর্ডের বিরাগভাজন হওয়ার তত্ত্ব। তারই প্রভাব পড়েছিল বোর্ডের চুক্তি নবীকরণের বৈঠকে। গতকাল নতুন চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কন্ট্রাক্টে জায়গা হয়নি শ্রেয়স আইয়ার এবং ঈশান কিষানের। তবে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পর রবি শাস্ত্রীকে পাশে পেয়ে গেলেন শ্রেয়াস এবং ঈশান। দুই ক্রিকেটারকে উৎসাহিত করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ। তার আশা দুজনেই খুব শীঘ্রই দলের হয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তি হিসেবে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন শ্রেয়স আইয়ার এবং ঈশান কিষাণ। তাঁদেরকে বারংবার রঞ্জি তথা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বলা হলেও কথায় কর্ণপাত করেননি দুজনেই। তবে দুই ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। তার মতে এই সিদ্ধান্তে আখেরে লাভবান হতে পারেন এই দুই যুব ক্রিকেটারই। বুধবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য ৩০ জন ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছর ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা শ্রেয়স আইয়ার এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ঈশান কিষানকে যে চুক্তি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। শাস্ত্রী বোর্ডের সিদ্ধান্তের কোন ভুল দেখছেন না। তবে তিনি উৎসাহিত করেছেন দুই ক্রিকেটারকেই। সমাজ মাধ্যমে জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ লেখেন, ‘ক্রিকেট খেলায় প্রত্যাবর্তনই সবচেয়ে বড় চেতনার পরিচয়। শ্রেয়স আইয়ার এবং ঈশান কিষাণ - তোমরা ভেঙে পড়ো না ও মাথা উঁচু করে থাকো। গভীরে গিয়ে বিষয়টিকে অনুধাবন করো। জীবনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হও। তারপর আরো শক্তিশালী হয়ে ভারতীয় দলে ফিরে এসো। তোমাদের অতীতের অর্জন গুলিকে আরও বেশি করে মূল্য দাও। আমার সন্দেহ নেই ভবিষ্যতে তোমরাই জিতবে।’
In the game of cricket, comebacks define the spirit. Chin-up, @ShreyasIyer15 and @ishankishan51! Dig deep, face challenges, and come back even stronger. Your past achievements speak volumes, and I have no doubt you'll conquer once again.
— Ravi Shastri (@RaviShastriOfc) February 28, 2024
শ্রেয়াস এবং ঈশান কিষানের প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ নেই কোন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরই। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দুই ক্রিকেটারের মানসিকতা ও আচরণে বিরক্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতের জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়, জাতীয় নির্বাচকমন্ডলী এবং বোর্ডের কর্তারা। একাধিকবার বিভিন্নভাবে তাদেরকে বার্তা দিয়ে সতর্ক করা হয়। তাতেও বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি দুজনের আচরণে। ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবাণীর পরেও কেউ মজে থেকেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে, কাউকে চোটের অজুহাতে রঞ্জি বিমুখ হয়ে থাকতে দেখা গেছে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে তাদের বাদ দেয়ার কথা ঘোষণা করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যদিও বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন রবি শাস্ত্রী।