বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে চলেছে রংপুর রাইডার্সের অশ্বমেধ। অসাধ্য তাদের এই দৌড় থামানো। টানা ছয় ম্যাচে জয় দিয়ে তারা এই মুহূর্তে টেবিলের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে। ঢাকা, সিলেট পর্ব ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন চলছে চট্টগ্রাম পর্ব। সেখানেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে তারা। খুলনা টাইগার্সকে রংপুর ৭৮ রানে পরাজিত করে। মাত্র দুটি ম্যাচে অংশ নিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এসেছিলেন প্রোটিয়া তারকা ইমরান তাহির। আর তাতেই বল হাতে কামাল করে দেখিয়েছেন তিনি। ম্যাচের সমস্ত ফোকাস এখন এই লেগ স্পিনারের দিকে। খুলনার ব্যাটিং লাইন আপে একাই ধ্বস নামিয়ে দিয়েছেন তিনি। এনামুল হক বিজয়, আফিফ হোসেন, অ্যালেক্স হেলস সহ তারকা ব্যাটসম্যানদের রংপুরের জার্সি গায়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়েছেন তাহির। ম্যাচের শেষ অবধি চার ওভার বোলিং সম্পূর্ণ করেন ইমরান তাহির। তাতে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মাত্র ২৬ রান খরচ হয়েছে এই ৪ ওভারে। তাঁর বোলিংয়ে কার্যত ধরাশায়ী খুলনা ১৪১ রানে অল আউট হয়ে যায়।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর রাইডার্স। শুরুটা একদমই ভালো হয়নি রংপুরের। মাত্র ২৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেন তারা। পরে তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে ম্যাচের হাল ধরেন শাকিব আল হাসান। শেখ মেহেদীকে সাথে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে থাকেন দুজনে। মাত্র ৪৮ বলে ১০৯ রান দুজনে যোগ করেন রংপুরের স্কোরবোর্ডে। তাদের মিলিত প্রয়াসেই রংপুরের স্কোর ২০০-র কাছাকাছি পৌঁছে যায়। ২০ ওভার শেষে তারা ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান সম্পূর্ণ করেন। যে ম্যাচে শাকিব আল হাসান করেন ৩১ বলে ৬৯। তাঁর এই অনবদ্য টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ব্যাট থেকে এসছে ছটি চার ও ছটি ছয়। তার ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ছিল ২২২.৫৮র আশেপাশে। অন্যদিকে তাকে যোগ্য সঙ্গত দেয় শেখ মেহেদী। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৬০ রান। তার ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট ছিল ১৬৬.৬৬র আশেপাশে।
শেষদিকে ক্যামিও চরিত্রে লক্ষ্য করা যায় সোহানের একটি ছোট ইনিংস। যেখানে ১৩ বলে ৩৩ রান সম্পূর্ণ করেন তিনি।
পরবর্তীতে ব্যাট করতে নেমে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি খুলনা। প্রথমেই এভিন লুইসের উইকেট তুলে নিয়ে খাতা খোলে রংপুর। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব যে খুব ভালো মতোই শুরু হলো রংপুরের সে কথা বলাই যায়।