পরপর চারটি টেস্ট খেলার পরে এবার বিশ্রামের কথা ভাবা হচ্ছে জসপ্রীত বুমরাহর জন্য। যদিও তিনি ম্যাচ ফিট। স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন ভারতীয় পেসার। তবু ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অন্যদিকে দলের সাথে যোগ দিলেন বাংলার বোলার মুকেশ কুমার। মঙ্গলবার দলের সঙ্গে ধোনির শহরে পদার্পন করেননি বুমরাহ। রাতে ভারতীয় বোর্ডের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে স্পষ্ট তো জানিয়ে দেয়া হয় রাঁচিতে হতে চলা ভারত বনাম ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট থেকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় তারকাকে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সিরিজের দৈর্ঘ্য ও ম্যাচের পরিমাণের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে কে এল রাহুলের না ফেরার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে বোর্ড। বোর্ডের বিবৃতিতে স্পষ্ট বার্তা, ‘রাজকোট টেস্টের আগে দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল জোরে বোলার মুকেশ কুমারকে। রাঁচিতে দলের সঙ্গে আবারও যোগ দিতে চলেছেন মুকেশ।’
কিন্তু বুমরাহর শূন্যস্থান কাকে দিয়ে পূরণ করানো হবে? রাশির উইকেট কি রকম হতে চলেছে তার উপরেই এই গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে। ভারতীয় দল ব্যাটিং সহায়ক পিচে খেলে শেষ দুটি টেস্টে জয় লাভ করেছে। রাঁচিতে আবারো কি ঘূর্ণি মঞ্চ প্রস্তুত হতে পারে ব্রিটিশ বাহিনীর জন্য? এই নিয়েই এইমুহূর্তে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা গেছে সাধারণত রাঁচির পিছে ব্যাটসম্যানরাই বেশিরভাগ সুবিধা পেয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রথম দুদিন বল খুব একটা না ঘুরলে অবাক হওয়ার মতো কোনো বিষয় থাকবে না। তো ব্যাটিং পিছিয়ে যে পেসারের গুরুত্ব কতখানি তা প্রমান করেছেন বুমরাহ। তিনি ছন্দে না থাকলে প্রথম ইনিংসেই অনেক রানে এগিয়ে যেতে পারত বেন স্টোকসের দল। দ্বিতীয় ইনিংসেও হয়তো তারা রান তাড়া করে জিততে সক্ষম হতো। তাই বুমরাহর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়ে এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে কে প্রত্যাবর্তন করবে সেটাই এবার দেখার। রাজকোটে দলের সাথে যোগ দিয়েছিলেন আকাশদীপ। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্ট সিরিজের জোরে বোলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি উইকেট রয়েছে তার দখলে। দুদিকেই সুইং রক্ত করেছেন তিনি। শিখছেন রিভার্স সুইংও। তারই রঞ্জি দলের সতীর্থ মুকেশ বাংলার হয়ে শেষ ম্যাচে দশটি উইকেট নিয়ে রাঁচির উড়ানে পাড়ি দিয়েছেন। এবার দেখার যে তাদের মধ্যে কে দলে সুযোগ পান।