এখনো অবধি পারফরমেন্সের বিচারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের অন্যতম দল মনে করা হচ্ছে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। নামে বা ভারে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি উভয় তারকাদের হাট এই দুটি দল। সেই হিসাবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কে এগিয়ে রয়েছে? এই প্রশ্ন লিটনকে করা হলে, তিনি কার্যত উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন দুই দলেরই এইক্ষেত্রে সমান শক্তি রয়েছে। কুমিল্লার অধিনায়ক মনে করছেন, দুই দলে কেউই উনিশ বিশ জায়গাতে নেই, সব জায়গাতেই তাদের সমান সমতা রয়েছে।
রাউন্ড রবিন লীগের দুটি ম্যাচের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, পরিসংখ্যান বলছে কেউই কারো চেয়ে কম না। একটি করেই জিতেছে রংপুর ও কুমিল্লা। যদিও বিগত বছরের চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে মাঝপথে কিছুটা ধারাবাহিকতার অভাব লক্ষ্য করা গেছিল। তবে পরের দিকে ছন্দ পেয়ে যায় দলটি। তারা লীগ টেবিলে দুই নম্বর স্থানে শেষ করেছে। আর অন্যদিকে টানা ৮ ম্যাচে জয় লাভ করে রংপুর ছিল সবার উপরে।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনের পর লিটন দাস মনে করালেন, ছোট ছোট বিষয়গুলিই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবে। তিনি বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করলেন, ‘ তাদের সাথে এরই মধ্যে দুটো ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। রেজাল্ট যেহেতু সমান সমান, তাই দুটি দলই এক্ষেত্রে সমান শক্তিশালী। দুটি দলই এক্ষেত্রে সমান আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে। আমরা তাদেরকে নিয়ে চিন্তা করছি না, আমরা নিজেদের নিয়েই শুধুমাত্র ভাবছি। যদি এক্ষেত্রে আমরা সেরা ক্রিকেটটি খেলতে পারি, তাহলে আশা করি ভালো কিছুই হবে।’
এদিকে কুমিল্লা দলে লিটনের পাশাপাশি রয়েছেন হৃদয়, নারিন, রাসেল, মঈন আলী ও নূর আহমেদের মতো তারকারা। উল্টোদিকে রংপুর শিবিরও যথেষ্ট শক্তিশালী। তাঁদের দলে রয়েছে সাকিব, নবী, নিশাম, মেহেদী, সোহানের মতো তারকারা।
লিটন এক্ষেত্রে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে বিদেশীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দিকেও চোখ রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘ মনে রাখতে হবে অবশ্যই বাংলাদেশী ক্রিকেটাররাও অনেক বড় বড় খেলোয়াড়। শুধু বিদেশীরাই নয়, আমার মনে হয় দেশি খেলোয়াড়দেরও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে। সুযোগ পেলে তারাও এই চেষ্টাটাই করবে। আমি আগেও বলেছি তাদের সাথে আমাদের এখন একটা সমতা রয়েছে। এই লীগে দুটিই বড় দল, কেউ কারো চেয়ে কম এটা আমি মনে করিনা। তাই এক্ষেত্রে মাঠে যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, স্মার্ট ক্রিকেট খেলবে, তারাই জয়লাভ করবে।’ মাথায় আঘাত পেয়ে কুমিল্লার শেষ ম্যাচে খেলেননি মুস্তাফিজুর রহমান। যদিও তিনি খেলবেন কিনা সেই বিষয়টি দলের তরফে এখনো স্পষ্ট করা হয়নি।