ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের কেউ গল্ফ পছন্দ করেন না এমন দুর্নাম বোধহয় কেউই বিশেষ দিতে পারবেন না। দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ দিনেই কার্যত ইনিংস শেষ হয়ে গেছে ইংল্যান্ড শিবিরের। বিশাখাপত্তনমের পাঁচতারা হোটেলের সাগর পাড়ে দিব্যি আরামে সময় কাটাতে পারতেন ব্রিটিশ সিংহবাহিনী। কিন্তু সেক্ষেত্রে হোটেল বন্দী হয়ে দিন কাটাতে চাননি বেন স্টোকস, জিমি অ্যান্ডারসনরা। শোনা যাচ্ছে হোটেলের স্থানীয় ম্যানেজারের কাছে জানতে চান, ধারেকাছে নিকটবর্তী গলফকোর্সের সন্ধান। ঠিকানা জানতে পেরে সেখানেই ছুটে যান ইংল্যান্ড শিবিরের বেশ কিছু ক্রিকেটার। যদিও বেন ফোকস, টম হার্টলি, অলি পোপ ও জ্যাক লিচ হোটেলবন্দী অবস্থাতেই সময় কাটিয়েছেন। তাদের জ্বর এখনো সারেনি বলেই ইংল্যান্ড শিবির সূত্রে খবর।
ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের পরাজয় যে বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি ইংল্যান্ড শিবিরে, তা তাঁদের ম্যাচ পরবর্তী অবসরযাপনেই স্পষ্ট। চতুর্থ দিন চা বিরতির আগে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বিকেলে দেরি করে হোটেলে ফেরেন ম্যাকালামের দল। ভারতীয় দলের সকলে বেরিয়ে যেতেই তারা মাঠে নেমে পড়েন পায়ে ফুটবল নিয়ে। দু-দলে ভাগ হয়ে শুরু হয় অনুশীলন। পরাজয়ের পর ক্রিকেটারদের মন ভালো রাখাও বোধহয় বাজবল ক্রিকেটেরই অঙ্গ। ইংল্যান্ড শিবির সূত্রে খবর সাত দিনের ছুটিতে আবুধাবি ঘুরে আসার পরামর্শও দিয়েছেন ম্যাকালাম। সেখানে ভালো গলফ কোর্সের পাশাপাশি আদর্শ উৎসবের পরিবেশও রয়েছে।
তবে ইংল্যান্ড শিবিরে এখানে স্বস্তির মধ্যেই বিরাজ করছে দুটি মূল চিন্তার বিষয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো জ্যাক লিচের হাঁটুর চোট। তাঁর বাঁ-হাঁটুর ফোলা ভাব এখনো কমেনি। ব্যথা সামান্য কমলেও হাঁটাচলা করতে রীতিমতো সমস্যা হচ্ছে। তবে স্ক্যান করার পরবর্তীতে বিশেষ কোনো সমস্যা দেখা যায়নি।
মূলত হাঁটুর পেশীতে আচমকা টান লাগার ফলেই এতটা যন্ত্রণা হচ্ছে বলে মনে করছেন ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা। এখনো বেশ কয়েকদিন বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনারকে।
তবে টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকে মনে করছেন রাজকোট টেস্টের আগে তিনি সুস্থ হয়েও যেতে পারেন। তবে পিক যদি একেবারে ঘূর্ণি না হয় তাহলে লীচকে খেলানোর ঝুঁকি নেয়া হবে না। রাঁচি টেস্টের আগে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। লিচের পরিবর্ত যদিও এখনো দল সূত্রে ঘোষণা করা হয়নি। এর পাশাপাশি ইংল্যান্ড দলকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে অজানা ভাইরাসের আতঙ্ক। জ্বর না কমলে কোভিড পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কী ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ তা বলতে পারছেন না দলের কেউই।