পিচ ধাঁধায় আটকে ভারতীয় দল। এখনো অবধি সিরিজ ১-১। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যেকোনো ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী ভারতের মাটিতে খেলা হলে এগিয়ে রাখবে স্পিনারদের। বিশেষত তা যদি রাজকোটের মাটিতে হয়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পরিসংখ্যানের বিচারে সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপকের তালিকায় এখনো অবধি কোনও স্পিনারের নাম নেই। যার নাম রয়েছে তিনি একজন ভারতীয় পেস বোলার। এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার নিরিখে যিনি টেস্ট বোলার হিসাবে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করে আছেন সেই যশপ্রীত বুমরাহ। দুটি টেস্ট শেষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। তাঁর সংগ্রহের ঝুলিতে ১৫টি উইকেট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার টম হার্টলি। দুটি টেস্ট মিলিয়ে যার ঝুলিতে ১৪টি উইকেট। ৯টি ও ৮টি উইকেট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছেন অশ্বিন ও রেহান আহমেদ।
ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া টেস্টে এহেন পরিসংখ্যান ইতিহাসে বিরল। বিগত কয়েক বছরে ভারতের মাটিতে ম্যাচ হলেই পিচে প্রথম দিন থেকেই অস্বাভাবিক ঘূর্ণির পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। ম্যাচেও দেখা গেছে পিচে ঘাসের চিন্হ মাত্র নেই। সেই ভারতে ৫ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে এসে ইংল্যান্ডের সামনে কিছুটা হলেও বিস্ময়কর পরিস্থিতি। পিচে ঘাস রয়েছে। বলও যে বিশেষ ঘুরছে, এমনটা কেউ বলবে না। এই পরিস্থিতিতেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে ভারতীয় শিবিরে। স্পিনাররা এই মুহূর্তে ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের সামনে সফল হলেও দেদার সুইপ ও রিভার্স সুইপ আসছে তাঁদের ব্যাট থেকে। বাজবল ক্রিকেটের দৌলতে স্পিনারদের বিপক্ষে মুড়ি-মুড়কির মত ধেয়ে আসছে চার-ছয়ের বন্যা। বল ঘুরলেও ভারতীয় স্পিনারদের সমানে টক্কর দিচ্ছেন ব্রিটিশ স্পিনাররা। হায়দ্রাবাদে তাদের সামনে ভেঙে পড়েছে ভারতীয় ব্যাটিং।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বুমরাহ ভারতীয় শিবিরে একমাত্র কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর ইয়রকার ও বুদ্ধদীপ্ত বোলিংয়ে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। ইংল্যান্ড শিবিরেও শোনা যাচ্ছে তারা দুই প্রেসারে খেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। রাজকোটের পিচে ঘাস থাকলে তারা জেমস আন্ডারসনের সঙ্গে মার্ক উডকে খেলাবেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় শিবিরে বুমরাহর বিকল্প খুঁজতে মরিয়া রাহুল দ্রাবিড়। বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার নেই। কে এল রাহুলও ম্যাচ ফিট নন। রবীন্দ্র জাদেজাকে পাওয়া যাবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই পরিস্থিতিতে রবিনচন্দ্র অশ্বিনের সাথে যোগ্য ভূমিকায় বল হাতে কাকে দেখা যাবে, সেটাই এখন ভারতীয় শিবিরের লাখ টাকার প্রশ্ন।