ভারতীয় ক্রিকেটে ক্রমাগত বিতর্ক বেড়েই চলেছে হনুমা বিহারীকে কেন্দ্র করে। কিছুদিন আগেই সমাজমাধ্যমে সতীর্থদের সই করা একটি চিঠি পোস্ট করেছিলেন তিনি। বার্তা দিতে চেয়েছিলেন কতজন সতীর্থ তার পাশে দাঁড়িয়েছে। এবার কয়েকজন সতীর্থ সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা জানিয়েছেন, জোর করে হুমকি দিয়ে তাদের এই সই সংগ্রহ করেছিলেন ক্রিকেটার হনুমা বিহারী। তারা লিখিতভাবে বিষয়টি অন্ধ্র রাজ্য সংস্থাকে জানিয়েছে। এদিকে, হনুমা বিহারী এর দাবি করেছেন, তাঁকে নাকি জোর করে নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছে। গত সোমবার ১৫ জন সতীর্থের সই করা একটি চিঠি প্রকাশ্যে এনে ক্রিকেটমহলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন অন্ধ্রের এই তারকা। তিনি এই মুহূর্তে দাবি করেছিলেন প্রায় গোটা দলই তাঁর পাশে রয়েছে। কিন্তু রাজ্য সংস্থাকে অন্ধের ক্রিকেটাররা স্পষ্ট করেছেন, তাদেরকে দিয়ে নাকি জোর করে সই করানো হয়েছে। বেশ কিছু ক্রিকেটারের অভিভাবক রাজ্য সংস্থাকে জানিয়েছেন, স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। একটি ম্যাচ খেলিয়েই দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে তাদের প্রতিভা দাম পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
এর মধ্যেই কিছু পুরনো চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। সৈয়দ মোস্তাক আলী টি-টোয়েন্টি চলাকালীন দলের ম্যানেজারের তরফে রাজ্য সংস্থাকে একটি লিখিত ইমেইল দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্টত দাবী করা হয়েছে, কিভাবে নেতিবাচক মানসিকতার দলের পারফরমেন্সের প্রভাব ফেলছে। তিনি আরো জানান দলের মধ্যে ‘গ্রুপ’ তৈরি হয়েছে এবং ‘পার্টি কালচার’ প্রভাব ফেলছে। অর্থাৎ কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের মতো দল তৈরি করে রয়েছেন। কিছু আবার নিজেদের মতো পার্টি করার মেজাজে মেতে রয়েছেন।
অন্যদিকে আরেকটি ইমেইলে জেনারেল ম্যানেজার অভিযোগ জানিয়েছেন, তার সাথে নাকি খারাপ ব্যবহার করেছেন হনুমা বিহারী। তাকে গালিগালাজ করেছেন। অকথ্য কথা বলেছেন।
ভারতীয় দলে ডাক না পাওয়ার কারণে গত বছরই অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন হনুমা বিহারী। পরে ক্ষমা চেয়ে অন্ধ্রের হয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নেন। সেই ইমেইলও প্রকাশ্যে এসেছে।
তবে এই বিতর্কে হনুমার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তেলেগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক পবন কল্যাণ।
তিনি এদিন সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘যে ছেলেটা ভারতের হয়ে ১৬টি টেস্ট খেলেছে, সিডনি টেস্টে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিল, তাকে আজ রাজনীতি চাপের নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে! এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কি হতে পারে!’ স্বভাবতই অন্ধ ক্রিকেটে পরিস্থিতি যে যথেষ্ট সরগরম একথা বলাই যায়।