/bl-sky-247/media/media_files/Z5WZGNtblCN4bGeHInIA.jpg)
India U-19 team confirmed their final ticket
টানা পাঁচটি ম্যাচে ধারাবাহিকতার সরণি পেরিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় যুবদল। কিন্তু সম্পূর্ণ চিত্রটা পাল্টে যায় যখন মঙ্গলবার বেনোনিতে ভারত খেলতে নামে। একটা সময় গিয়ে মনে হচ্ছিল যে এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবার ম্যাচ হেরে বিদায় নিতে হবে ভারতীয় দলকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অসাধারণ কামব্যাকের রূপকথার শরিক হয়ে জয়ের মঞ্চে নিজেদের স্থাপন করে ভারতীয় যুব দল। সচিন দাস এবং উদয় সাহারানের দৌলতে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচের কিনারা থেকে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেয় ব্লু-ব্রিগেড। কার্যত দুঃসাহসিক ব্যাটিং করে দলকে ফাইনালে তোলে এই দুই ভবিষ্যৎ তারকা।
ম্যাচের শুরুতে টসে জিতেও প্রথমে ভারতীয় দলের অধিনায়ক উদয় সাহারান ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তকেই বেছে নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৭উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে। পরবর্তীতে যখন ভারত ব্যাট করতে নামে, দেখা যায় ৩২ রানে ইতিমধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কার্যত ধুঁকতে থাকা দলকে খাদের প্রান্ত থেকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন সচিন ও অধিনায়ক সাহারান। সচিন কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ৯৫ বলে ৯৬ রানের অসামান্য ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন অধিনায়ক সাহারান। যার ব্যাট থেকে আসে ৮১ বলে ১২৪ রান। তাদের দুরন্ত প্রত্যাঘাতে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে যোগ হয় ১৭১ রান। যদিও শেষ দিকে আবার পরপর উইকেট হারাতে থাকে ভারতীয় যুব দল। শেষ দিকে ম্যাচের ৪৯তম ওভারে রান আউট হয়ে যান অধিনায়ক সাহারান। যদিও ততক্ষনে ম্যাচ টাই হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া রাজ লিম্বানির ব্যাট থেকে আসে জয়সূচক বাউন্ডারিটি।
এক ওভার এক বল বাকি থাকতে দুই উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে টানা পাঁচবার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নিল ভারতীয় যুব দল।
রবিবার যুব বিশ্বকাপ ২০২৪-র ফাইনাল। ভারতকে খেলতে হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দলের সঙ্গে, যেখানে আগামীকাল মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। এই ম্যাচের অন্যতম নায়ক সচিনের নামকরণ হয়েছিল কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যানের নামেই। তরুণ ভারতীয় ব্যাটসম্যান জানিয়েছিলেন তিনি সচিন তেন্ডুলকারের ভক্ত। এদিন সচিন এবং অধিনায়ক সাহারান কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বড় রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলার লক্ষ্য নেন। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষ বোলারদের আক্রমণ করেছিলেন সচিন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের আফসোস, কেউই শতরান সম্পূর্ণ করতে পারেননি। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা এতে হতাশ হচ্ছেন না। তাঁরা আশাবাদী সঠিক সময়ে কঠিন কাজটা করে দেখিয়েছেন এই ভবিষ্যত তারকারা। আর একটা ম্যাচ এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ঘরে নিয়ে আসতে পারবে ভারত।