শুরু থেকেই লেগেছিল ব্যাটিং বিপর্যয়। একটা সময় মনে হয়েছিল ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যর্থতায় হয়ত ম্যাচটার স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যাওয়াটাই অন্যতম চ্যালেঞ্জ রংপুর রাইডার্সের। তবে তার পরবর্তী সময় ত্রাতা হয়ে আসেন শামীম হোসেন। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে একটি অর্ধশতরান জুড়ে দেন স্কোরবোর্ডে। তারপর কিছুটা সম্মানজনক স্কোর পৌঁছয় তারা। যদিও বল হাতেও নুরুল হাসান সোহানের দলের শুরুটা খুব একটা মন্দ হয়নি। তবে বিশেষত ফরচুন বরিশাল ব্যাটসম্যানদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই কিছুটা পিছিয়ে গেলো তারা। অনায়াস জয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলো তামিম-মুশফিকুররা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ছয় উইকেটে জয় পেল বরিশাল। রংপুরের দেওয়া ১৫০ রানের টার্গেট দলটি খুব সহজেই অর্জন করলো। ৯ বল হাতে থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা।
রান তাড়া করার লক্ষ্যে প্রথম কয়েকটি ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছিল বরিশালের অন্যতম দুই ওপেনার। আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করা তামিম চতুর্থ ওভারে ব্যর্থ হয়। প্রথমে আবু হায়দার রনিকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কিছুটা লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরের বলেই মিড অফে ক্যাচ তুলে দিয়ে শেষ হয়ে যায় তার ইনিংস। চাপ বাড়াতে থাকে রংপুর শিবির। রনি আউট করে দেন মিরাজকে। তবে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। জিমি নিশামের এক ওভারে মারেন দুটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। পাওয়ার প্লে শেষে বরিশালের রান গিয়ে পৌঁছয় ৪৯শে। হাত খুলতে থাকেন সৌম্য সরকারও। রনির এক ওভারে টানা তিন বলে তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। দুটি চারও মারেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে স্বভাব সিদ্ধ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের রংপুরকে চাপে ফেলতে থাকেন কাইল মায়ার্স। পরবর্তীতে ডেভিড মিলার ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুরকে যোগ্য সহায়তা করেন ব্যাটিংয়ে। ছয় উইকেট হাতে রেখে শেষ চার ওভারে ২২ রান তাড়া করার কাজটি কঠিন হতে দেননি মুশফিকুর। মুশফিকুর অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে এবং অন্যদিকে ডেভিড মিলার করেন ২২ রান।
টসে জিতে আগে রংপুরকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তামিম ইকবাল। সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করে দেয় দলের বোলাররা। এই ম্যাচে রংপুরের একমাত্র আশার আলো ছিলেন জিমি নিশাম। গত ম্যাচে অপরাজিত ৯৭ রান করা এই অলরাউন্ডার এই ম্যাচে ২৮ রান করেন। তবে রংপুরের ১৫০ রানের স্কোর কখনোই যথেষ্ট ছিল না ম্যাচ জেতার জন্য। আগামী শুক্রবার ফাইনালে ঢাকার মাঠে কুমিল্লার মুখোমুখি হচ্ছে বরিশাল।