চট্টগ্রাম জুড়ে চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের আসর। আগেরদিন খেলা ছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। পুরো একটা গ্যালারী জুড়ে চলছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সমর্থকদের চিৎকার। প্রতিটি রানে গমগম করছিল গ্যালারি। ইতিমধ্যেই ব্যাট করতে নামেন তাওহীদ হৃদয়। তাঁর ব্যাট থেকে আসতে থাকে একের পর এক ওভার বাউন্ডারি। ছক্কাগুলি গিয়ে জমা হয় দর্শকদের মধ্যে। দ্বিগুন আনন্দে দর্শকরা উপভোগ করেন তাঁর এই অনবদ্য ইনিংস। ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছিলেন হৃদয়। এরপর চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে বিশেষ রান করতে পারেননি তিনি। এক ম্যাচ পরেই আবার স্বরূপে ফিরলেন হৃদয়। খুলনা টাইগার্সের বোলারদের উপর দিয়ে রীতিমতো প্রলয় বয়ে গেল, একথা বলাই চলে।
যদিও কুমিল্লার দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের কেউই বিশেষ রান পাননি এদিন। লিটন দাস ফিরে গেছেন মাত্র দু রান সম্বল করে। পার্থক্যটা করে দিলেন তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা হৃদয়। তাকে যথাযথ পার্টনারশিপ দিয়ে ইনিংসটি এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করলেন জাকের আলী অনিক। দুজনে মিলে জুটিতে দলের খাতায় যোগ করলেন ৮৪ রান। হৃদয় মাত্র ৪৭ বল খেলে ৯১রানের বিধ্বংসী ইনিংস রচনা করেন। ম্যাচের শেষ অবধি উইকেট না হারিয়ে তিনি অপরাজিত হয়ে মাঠে টিকে ছিলেন। তাঁর ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট ১৯৩.৬১। গোটা ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে ৭টি ওভার বাউন্ডারি আসে। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এখন অবধি সবচেয়ে বেশি ৬ মারার রেকর্ড রয়েছে তাওহীদ হৃদয়ের ঝুলিতে। তাঁর এমন বিধ্বংসী ইনিংসকে সম্বল করে মাত্র ১৬.৩ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় কুমিল্লা। বাইশ গজের অন্যপ্রান্তে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী। ৩১ বল খেলে তিনি দলের স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যুক্ত করেন।
এর আগে খুলনা টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ব্যাট হাতে খুব একটা কার্যকরী একেবারেই দেখায়নি খুলনার ব্যাটসম্যানদের। ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন এভিন লুইস। তাতেই কিছুটা সন্মানজনক জায়গায় পৌঁছয় তারা। পরবর্তীতে আস্তেআস্তে উইকেটের পতন শুরু হয় তাদের। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা দলের স্কোরবোর্ডে যুক্ত করে ১৬৪ রান। চট্টগ্রামের মাঠে সেই রান তাড়া করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি কুমিল্লাকে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের এই জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বেশ জমে উঠেছে একথা বলাই যায়।