রঞ্জি ট্রফি চলার মাঝেই অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সংঘাত ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হনুমা বিহারীর। তাঁকে অধিনায়কের পদ থেকে সরানো নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটার। আর তাতেই ভারতীয় ক্রিকেট মহল জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান জল্পনা, আলোচনা। এবারের রঞ্জি ট্রফি চলার মাঝেই অন্ধ্রপ্রদেশের এক নেতার অঙ্গুলীহেলনে তাঁর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনলেন হনুমা বিহারী। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়াতেই সেই বক্তব্য জানিয়েছেন হনুমা। ঐর তাতেই কার্যত ভারতীয় ক্রিকেট মহলে বিতর্ক তুঙ্গে। ভবিষ্যতে অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে না খেলার বার্তাই দিয়েছেন হনুমা বিহারী।
রঞ্জি ট্রফিতে এবার হনুমা বিহারীর নেতৃত্বেই যাত্রা শুরু করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। প্রথম ম্যাচেই তাদের সামনে ছিল বাংলা। সেখানে বাংলার বিরাট রানের জবাবে দুরন্ত পারফরম্যান্সও প্রদর্শন করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। সেই ম্যাচ চলাকালীনই নাকি ঘটনার সূত্রপাত। পারফরম্যান্সের নীরিখে দগলের এক ক্রিকেটারের ওপর নাকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের অধিনায়ক হনুমা বিহারী। সেই ক্রিকেটারেরই বাবা নাকি অন্ধ্রপ্রদেশের একজন রাজনীতিবিদ।
দেশের জার্সিতে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন হনুমা বিহারী
সেই রাজনীতিবিদই নাকি ভারতীয় অন্ধ্রপ্রদেশের ক্রিকেট সংস্থায় হনুমা বিহারীর নামে নালিশ জানান এবং সেই ব্যক্তির জন্যই নাকি তত্ক্ষণাত হনুমা বিহারী অন্ধ্রপ্রদেশের অধিনায়কের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হনুমা বিহারীর এই বক্তব্য যে ভারতীয় ক্রিকেটে বড়সড় প্রভাব ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একইসহ্গে আগামী দিনে অন্ধ্রপ্রদশের হয়ে না খেলার বার্তাও দিয়েছেন হনুমা বিহারী। এই ঘটনা নিয়েই এখন জোরকদমে চলছে সমালোচনা। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।
সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হনুমা বিহারী জানিয়েছেন, "আমরা একেবারে শেষপর্যন্ত লড়াই করেছিলাম। কিন্তু শেষপর্যন্ত পারিনি। আবারও একটা কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে হতাশ। তবে এই পোস্টটি এমন কিছু একটা ঘটনা নিয়ে যা এদিন আমি সকলের সামনে আনতে চাই। বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আমি অধিনায়ক ছিলাম। সেখানেই আমি দলের ১৭ তম ক্রিকেটারের ওপর খানিকটা চিত্কার করেছিলাম। সেই ক্রিকেটারই যাঁর বাবা একজন রাজনীতিবিদ, তাঁকে গিয়ে আমার নামে নালিশ জানিয়েছিলেন।
তারপরই সেই ক্রিকেটারের বাবা আমাদের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। এমন কী গতবারের ফাইনালিস্ট বাংলার ৪০০ রান তাড়া করেছিলাম আমরা। এরপরই আমাকে অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। আমি অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে সেই ক্রিকেটারকে কিছুই বলিনি। কিন্তু অ্যাসোসিয়েশনের কাছে সেই ক্রিকেটারের গুরুত্ব বেশী ছিল। তাঁর গুরুত্ব কম ছিল যে গতবার লড়াই করে, বাঁহাতে ব্যাটিং করে দলকে নক আউটে পৌঁছে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে যে ভারতীয় দলের হয়ে ১৬টি টেস্টও খেলেছেন।
আমি ঠিক করেছি যে আর কখনোও অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে খেলব না। সেখানে আমার ব্যক্তি সম্মান নেই"।