ভরতকে সুযোগ দেওয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখলেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা

শেষ দুটি টেস্টে দস্তানা হাতে দুরন্ত ছন্দে থাকলেও ব্যাটিংয়ে বিশেষ নজর কাড়তে পারেননি কে এস ভরত। কে এল রাহুল চোট পাওয়ার পরবর্তী সময় দলে দ্বিতীয় উইকেট রক্ষকের ভূমিকায় রয়েছেন ধ্রুব জুরেল।

author-image
Manoj Kumar
New Update
K S Bharat (Source: X)

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে ভারতীয় দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। দ্বিতীয় টেস্টের পর প্রায় ৭দিনের ছুটি কাটাচ্ছে ভারতীয় শিবির। রাজকোটে তৃতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে ১৫ই ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার। মনে করা হচ্ছে এই টেস্টের দুদিন আগে থেকে আবার অনুশীলনে ফিরবে ভারতীয় শিবির।

ইতিমধ্যেই জানা গেছে জসপ্রীত বুমরাহ টানা তিনটি টেস্ট হয়তো নাও খেলতে পারেন। দলের সূত্রে খবর পাওয়া গেছে যে রাজকোটে ফেরানো হতে পারে মহম্মদ সিরাজকে। অন্যদিকে দল পরিচালন সমিতি এখনো পরিষ্কার করেননি রবীন্দ্র জাদেজার ফিটনেসের বিষয়টি। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি চর্চায় রয়েছে ভারতীয় দলের উইকেট রক্ষকের জায়গাটি।

শেষ দুটি টেস্টে দস্তানা হাতে দুরন্ত ছন্দে থাকলেও ব্যাটিংয়ে বিশেষ নজর কাড়তে পারেননি কে এস ভরত। কে এল রাহুল চোট পাওয়ার পরবর্তী সময় দলে দ্বিতীয় উইকেট রক্ষকের ভূমিকায় রয়েছেন ধ্রুব জুরেল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন। এছাড়াও আইপিএলের রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার ঝুলিতে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৫টি ম্যাচের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৪৬.৪৭ ব্যাটিং গড় নিয়ে তাঁর ঝুলিতে মোট রান ৭৯০।

অন্যদিকে কে এস ভরতও ঘরোয়া ক্রিকেটে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য নাম। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ১৭ রান করে টেস্ট সিরিজে তিনি নিজের জায়গা পাকা করেছেন।

কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে ব্যাট হাতে শেষ দু ম্যাচে বিশেষ ছাপ রাখতে পারেননি বিশাখাপত্তনমের এই যুবক। গত ম্যাচে ঘরের মাঠেও তিনি কার্যত ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জাতীয় দলের টেস্ট জার্সিতে তাঁর পরিসংখ্যান দেখে প্রশ্ন তুলেছেন। ৭টি টেস্ট খেলেও এই মুহূর্তে একটিও অর্ধশত রানের ইনিংস তার নামের পাশে নেই। যদিও কে এল রাহুলের চোট পরবর্তী সময় জাতীয় দলের তার কিপিং দেখে খুশি রাহুল দ্রাবিড়। কিন্তু তাতেও ব্যাটিংয়ের অস্বস্তি যাচ্ছে না জাতীয় শিবিরে। তবুও এইমুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভরতকে খেলানোর পক্ষেই সওয়াল করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় উইকেট কিপার কিরণ মোরে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘ এই মুহূর্তে ওকে হঠাৎ বসিয়ে দেওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।’ মোরের পাশাপাশি প্রাক্তন উইকেট কিপার নয়ন মোঙ্গিয়াও তাঁর এই যুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনিও জানান, ‘তরুণ ক্রিকেটারকে কয়েকটি সুযোগ তো অবশ্যই দেয়া উচিত। যে কোন ক্রিকেটারই নিজেকে মেলে ধরার জন্য যথেষ্ট সুযোগ প্রাপ্য।’ ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেট রক্ষক সৈয়দ কিরমানিও চান ভরতকে আরও কিছুটা সুযোগ দিতে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাহুল দ্রাবিড় কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।