ঘরোয়া ক্রিকেট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ভারতীয় টেস্ট দলের প্রাক্তন উইকেট রক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। মুখ খুললেন বোর্ডের নির্দেশের বিরোধিতা করে। ঋদ্ধির কাছে ম্যাচ খেলাই সেরা প্রস্তুতি। তবু কাউকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বাধ্য করার পক্ষে নন তিনি। অভিজ্ঞ উইকেট রক্ষক এবং ব্যাটসম্যান গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের উপরই ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী।
কার্যত সর্ব শক্তিমান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখালেন এই বঙ্গ ক্রিকেটার। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফের শ্রেয়স আইয়ার ও ঈশান কিষানকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। বোর্ডের তরফে বহুবার তাদেরকে রঞ্জি ট্রফিতে অংশ নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচক ও বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে তারা কখনোই রঞ্জি ট্রফিতে অংশ নেয়নি। কেউ তারা মেতে থেকেছেন টি-টোয়েন্টি নিয়ে, তো কেউ চোটের দোহাই দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দুই ক্রিকেটারের আচরণে ক্ষুব্ধ বোর্ড ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল। সেই মতোই কেন্দ্রীয় চুক্তি সামনে আসার পরবর্তীতে দেখা গেছে তাঁদেরকে ছাড়াই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের বড় অংশের সায় থাকলেও মানতে পারছেন না ঋদ্ধিমান।
বর্তমানে ত্রিপুরা দলের এই ক্রিকেটার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এসে বলেছেন, ‘না চাইলে কাউকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বাধ্য করা একেবারেই উচিত নয়। তবে পুরো বিষয়টিই বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার মতে কাউকে কোন কাজ করতে বাধ্য করা ঠিক নয়।’
ঋদ্ধিমান অবশ্য মেনে নিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ৪০টি টেস্টে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা এই উইকেট রক্ষকের মতে, যেকোনো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়ের কাছে। ম্যাচ খেলার চেয়ে ভালো প্রস্তুতি আর কিছুতেই নেই। যদিও বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের মর্জির উপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী।
এর পাশাপাশি তিনি মনে করেন, কোনও ক্রিকেটার জাতীয় সুযোগ পেলে সেটি দুহাতে লুফে নেয়া উচিত। এছাড়াও নিজের খেলা চালিয়ে যাওয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি ফিট থাকলে খেলা চালিয়ে যাই। এমনকি ক্লাব ক্রিকেট, অফিস লীগের ম্যাচেও খেলি। আমার কাছে প্রত্যেকটা ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা প্লেয়ার যদি বিষয়টি মাথায় রেখে চলতে পারে তাহলে খুব সহজেই তাদের কেরিয়ারে উন্নতি হবে।'