রাজকোটে ভারতের বিরুদ্ধে ৪৩৪ রানে পরাজয়ের পরেও বিশেষ আক্ষেপ নেই ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের। প্রসঙ্গত তার ডাকনাম বাজ অনুসারেই ইংল্যান্ডের এই নতুন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের নাম হয়েছে বাজবল ক্রিকেট। যা নিয়ে বহু মহলে বহু সমালোচনা কুড়োনোর পাশাপাশি অনেকের ভালোবাসাও পেয়েছেন তিনি। তবু পরিসংখ্যান বলছে ১৯৩৪ সালের পরে এত বড় ব্যবধানে পরাজয় স্বীকার করেনি ইংল্যান্ড। তবুও ম্যাকালাম মনে করছেন রাঁচিতে জিতে ঘুরে দাঁড়াবে তার দল।
ইংল্যান্ডের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাকালাম বলেছেন, ‘ রাজকোটের পরাজয় আমাদের সত্যিই বড় আঘাত দিয়েছে। তবু এই হার নিয়ে কোনোরকম আক্ষেপ নেই। আমরা নিশ্চিত ভাবে পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবোই।’ তিনি এর পাশাপাশি আরও যোগ করেন, ‘ সাত দিনের মধ্যে আপনারাই হয়তো আলোচনা করবেন যে সিরিজের শেষ ম্যাচটা কত উত্তেজক হতে চলেছে।’ আগামী শুক্রবার থেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহরের শুরু হতে চলেছে ভারত বনাম ইংল্যান্ড, চতুর্থ টেস্ট। যে ম্যাচে জসপ্রীত বুমরাহকে হয়তো বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। অভিষেক হতে পারে আকাশদীপের। আগামী টেস্টে ভোমরা না থাকা ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। ম্যাকালাম যদিও সেই নিয়ে বিশেষ ভাবছেন না। বাজবল ক্রিকেটের ব্যর্থতা নিয়ে ইতিমধ্যে নানা জায়গায় আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের কোচ জানিয়ে দিয়েছেন রাঁচিতে জিতে তিনি সব সমালোচনা থামিয়ে দেবেন।
বিরক্ত ইংল্যান্ড কোচ বলেছেন, ‘ সকলে নিজেদের মতো পরামর্শ দিতে শুরু করে দিয়েছে। কেউ ভালো বলছে কেউ খারাপ, আবার কেউ জঘন্য বলতেও দ্বিধা করেনি। এবার আমরা কোন পরামর্শ শুনবো সেটা সম্পূর্ণ আমাদের ব্যাপার। ড্রেসিংরুমে সকলেই আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া। নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। এই ধরনের ক্রিকেট খেলে আমরা এই সিরিজেই যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছি। এবার বাইরের কথায় কেউ কান দিলে সে নিজেরই ক্ষতি করবে।’
প্রাক্তন কিউই তারকা মনে করেন, শেষ ১৮ মাসে তার দল অনেক উন্নতি করেছে। তাঁর কথায়, ‘কোচ হিসেবে যখন আমি দলটার দায়িত্ব নিয়েছিলাম, ইংল্যান্ডের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ ছিল। শেষ ১৭ ম্যাচে মাত্র একটি জিতেছিল দল। আমার আসার পরে ১৪টি টেস্ট জিতেছে ইংল্যান্ড। আমি নিশ্চিত ভারতের মাটিতে চমক এখনো অনেক বাকি।’
যদিও বাজবলে ইতিমধ্যেই আস্থা হারিয়েছেন অনেক ইংল্যান্ড ক্রিকেট সমর্থক। সমালোচনাও শুরু করে দিয়েছেন কিউই কোচের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাঁচির টেস্ট, ম্যাকালামের কাছে একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ একথা বলাই যায়।