নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া এখন চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফির জন্য টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঐতিহ্যশালী এই সিরিজে আগে শুধুমাত্র ওডিআই খেলা হতো। বর্তমানে তারা সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বুধবার ওয়েলিংটনে শুরু হতে চলেছে তিন ম্যাচের এই সিরিজ।
মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয়তার বিচারেই এহেন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যেহেতু দুটি দল ওয়ানডে এবং টি টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হতে চলেছে, স্বাভাবিকভাবেই উভয় ফরম্যাটের জন্য একটি পয়েন্ট কাঠামো থাকবে যাতে ট্রফিটি কার হাতে উঠবে সেটি বিচার্য হবে।
স্যার রিচার্ড হ্যাডলি এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন, ‘এর ফলে এই দুর্দান্ত ট্রফিটির আরো দৃশ্যমানতা ও জনপ্রিয়তা বাড়বে। আমি ক্রিকেটের নতুন ফরম্যাটগুলিও যথেষ্ট পছন্দ করি। ৫০ ওভারের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমার খুবই ভালো লাগে।’ তিনি এর পাশাপাশি আরো যোগ করেন, ‘এর অর্থ হলো ক্রিকেটের সমস্ত ফরম্যাট এই সিরিজের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকবে। ট্রফিটির সময়কালও দীর্ঘ হবে, যা ক্রিকেটের জন্য হিতকর সিদ্ধান্ত।’
গ্রেগ চ্যাপেল এই চ্যাপেল-হার্ডলি ট্রফিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে মতপ্রকাশ করে বলেছেন, তিনি এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট সন্তুষ্ট।
তিনি এই প্রসঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘আমি যুব খেলোয়াড়দের জাতীয় পরিকাঠামো ও উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নতিসাধনের পক্ষপাতী। তরুণ অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা সামনের বছরগুলিতে ট্রফির জন্য তাদের কিউই প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখে আমি খুবই আনন্দিত হবো।’ নিউজিল্যান্ডের সাথে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বলে অভিহিত করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নিক হকলি। তিনি এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি এখন আগামী বছরগুলিতে আরো বেশি পরিমাণে প্রাসঙ্গিক হবে।’ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান স্কট ওয়েনিঙ্কও এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি তার মতামত জানিয়ে বলেন, ‘সমস্ত খেলোয়াড়, ভক্ত এবং বিশেষ করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কোথা থেকে আসছি ও আমরা কারা, সেই বিষয়ে পরিচিতি ঘটানো একান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। ভবিষ্যতের চিন্তা করার পাশাপাশি অতীতকে বিস্মৃত না হওয়ার জন্য একটি রাস্তা নির্মাণ করেছি।’ এই চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়েছিল ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। বর্তমান আয়োজক অস্ট্রেলিয়া এটি সাতবার জিতেছে এবং নিউজিল্যান্ড চারবার শীর্ষে উঠে এসেছে। অজি ও কিউই দুই দেশের ক্রিকেটমহলে যে এই বিষয়ে যথেষ্ট সরগরম রয়েছে, একথা বলাই যায়।