ডেন পিয়েডটের ৫ উইকেটে কিউইবাহিনীর ইনিংস দ্রুত সমাপ্ত। ২০১৯ সালের পরে অর্থাৎ করোনা পরবর্তী সময়ে প্রথমবার লাল বলের ক্রিকেটে ফিরলেন ডেন পিয়েডট। হ্যামিল্টনের দ্বিতীয় দিনের দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে দেয়ার জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। এই অফস্পিনার ৮৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪২ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড কার্যত ২১১ রানে শেষ হয়ে যায়। ম্যাচের একটি সময় নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেটে ১৪৩ রান ছিল। কিন্তু পরবর্তী ৬৮ রানের মধ্যে তাদের ৭ উইকেট পড়ে যায়।
শুরুটা হয়েছিল চা বিরতির পরবর্তী সময়ে শেপো মোরেকির সাত ওভারের অনবদ্য স্পেল দিয়ে। রাচীন রবীন্দ্রকে তিনি লেগ স্ট্যাম্প ছিটকে দিয়ে আউট করেন। যখন দলের চতুর্থ ব্যাটসম্যান টম ব্লান্ডেল ব্যাট করতে নামে পরপর ধেয়ে আসে ডেন প্যাটারসনের আক্রমণ। তিনি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করলেও বেশিক্ষন টিকতে পারেননি ক্রিজে। বল ব্যাটের পিছন দিকে লেগে স্ট্যাম্প ছুঁয়ে যায়। পিয়েডট আগে টম ল্যাথাম ও কেন উইলিয়ামসনকে আউট করেছিলেন। তারপর গ্লেন ফিলিপসের বড়ো উইকেট তুলে নিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে তাঁর বড়ো ভূমিকা রয়েছে। ব্যাটসম্যানের প্যাডের ভিতরের প্রান্তঃ দিয়ে বল জমা হয় উইকেট রক্ষক ক্লাইড ফরচুনের কাছে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের জন্য ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে উইল ইয়াং যথেষ্ট লড়াই করেছেন। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে ক্রমাগত উইকেট পড়তে থাকায়, তার ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। পিয়েডটের বলেই তিনি লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। শেষে দলের অধিনায়ক সাউদিও ৫ রানে প্যাটারসনের বলে নিজের উইকেটটি হারান।
যদিও সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা খুব একটা ভালো খেলতে পারেননি টিম সাউদিদের সামনে। আগের দিনের ২২০ রানের পর, তারা আর মাত্র ২২ রান দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পেরেছে। সদ্য অভিষেক হওয়া উইল ও’রোর ফন বার্গ ও ডি সোয়ার্ডের জুটি ভেঙে দিতে সক্ষম হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই জুটি মিলিতভাবে ৭০টি রান সংগ্রহ করেছিল।
কিউই তারকা উইলিয়ামসন তবু চেষ্টা করেছিলেন। তিনি একাই স্কোরবোর্ডে দলের হয়ে ৪৩ রান যুক্ত করেছেন। তাঁর বেশিরভাগ রান এসেছে লেগ সাইডে ব্যাটিং করে। অভিষেক হওয়া ফন বার্গের বলে উইলিয়ামসন পরপর দুটি চার মারেন। এখন তৃতীয় দিনে দুটি দল ম্যাচটি জিততে কী পরিকল্পনা নেয় সেটাই এবার দেখার। এখনো পরিস্থিতির বিচারে দুটি দলই লড়াইয়ে টিকে রয়েছে।