খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানে উড়িয়ে দিয়ে প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসটা যেন একার হাতেই টেনে নিয়ে গেলেন তানজিদ হাসান তামিম। অর্ধশতক সম্পূর্ণ করেছিলেন মাত্র ৩২ বলে। পরবর্তীতে মাত্র ৫৮ বলেই নিজের শতরান সম্পূর্ণ করেন এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত তাঁর স্কোর দাঁড়ায় ৬৫ বলে ১১৬ রান। এই গোটা ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার ও ৮টি ছয়ের সমাহার। নিজের ব্যাটিং সম্পূর্ণ করেছেন ১৭৮.৪৬ স্ট্রাইক রেট নিয়ে।
আগের ম্যাচেও খেলেছিলেন ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস। প্লে অফ খেলার জন্য এই ম্যাচটা জিততেই হত চট্টগ্রামকে। এরকমই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবার ব্যাটে আগুন জ্বলে উঠলো তামিমের। তাঁর শতরান দলকে পৌঁছে দিল ১৯২ রানে। এই সেঞ্চুরির মধ্যে দিয়ে এখন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান স্কোরারও তানজিদ। ছাড়িয়ে গিয়েছেন বন্ধু তাওহীদ হৃদয়কেও। ১১ম্যাচ খেলে তানজিদের ঝুলিতে রয়েছে মোট ৩৮২ রান। টুর্নামেন্টের শুরুটা সাদামাটা হলেও শেষ দিকে এসে ব্যাটে আগুন ঝরাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান।
খুলনা পরবর্তীতে ব্যাট করতে নেমে ১৯২-র জবাবে মাত্র ১২৭ রান করতে সক্ষম হয়। তবে তামিম এই বিশাল জয় উৎসর্গ করেছেন ভাষা শহীদদের। ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি আগে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি স্পষ্টত বলেন, ‘ এই ম্যাচটি খুবই ভালো হয়েছে। এর সাথে সাথে আমরা প্লে অফ নিশ্চিত করেছি, যা দলের জন্য অত্যন্ত ভালো বিষয়। দলের সবার সাথে কথা বলেছি, প্রত্যেকেই জয়টা ভাষা শহীদদের উৎসর্গ করতে চায়। প্রত্যেকেই এইমুহূর্তে খুব খুশি। যারা আমাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা এই জয়টা তাঁদের উৎসর্গ করছি।’
নিজের ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি প্রসঙ্গেও নিজের মতামত ব্যাখ্যা করেন তানজিদ হাসান তামিম। তিনি বলেন, ‘আমার ছোট একটি ভাগ্নে আছে। প্রতিটা সময় আমার ওর সাথে কথা হয়। এমনকি মাঠে ম্যাচ খেলতে নামার আগেও আমার ওর সাথে কথা হয়েছে। ওকে ছয় বললে ছয় দেখায়, আউট বললে আউট দেখায়। আমার আজকের শতরানটি আমি ওকে উৎসর্গ করতে চাই।’
মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রাজপথে নামে বাংলাদেশের মানুষ। নিজেদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন বহু শহীদ। ফেব্রুয়ারি মাসটিই তাই সকল বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য।