এই নিয়ে ধারাবাহিকভাবে টানা পাঁচবার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে নামতে চলেছে ভারত। যার নেপথ্যে রয়েছে দুই কিশোরের অনবদ্য জয়সূচক ইনিংস। মঙ্গলবার আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে উদয়ের ব্যাটে অবিস্মরণীয় ৮১রান না আসলে এহেন যাত্রা পথ সুগম হতোই না। পাশাপাশি সমান সহযোগিতা করেছেন সচিন দাস। তাঁর ব্যাটে এসেছে ৯৬ রান। ম্যাচের পরবর্তী সময় ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফাঁস হয়েছে তাঁদের সাফল্যের রহস্য। উদয়-সচিন জুটির কথোপকথনই পরিষ্কার যে একবারের জন্যও নিজেদের উপর চাপ তৈরি করতে দেন না তারা।
ছোট থেকেই বিরাট কোহলির অন্ধ ভক্ত ক্যাপ্টেন উদয়। প্রত্যেকটা ইনিংস দেখেন ও অনুসরণ করেন। বিরাট যেভাবে সিঙ্গেল-ডাবলস নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করেন, তা তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। তবে উদয় সাহারানের কাছে এই বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ক্লাব ক্রিকেটের ম্যাচেও এমন ক্যাল্কুলেটিভ পথে ক্রিকেট খেলে সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। উদয়ের আরো একটি বড় গুণ হলো তিনি অযথা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না। বড়ো শর্ট খেলার থেকে ছোট রানে বেশি মন দেন। সর্বদা স্ট্রাইক রোটেট করে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য।
এদিন ভিডিওতে খুনসুটি চলে দুই ভবিষ্যত তারকার মধ্যে। সচিন প্রশ্ন করেন, ‘ এইরকম হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জিতে কী অনুভব হচ্ছে?’ অধিনায়ক উদয় সরাসরি বলেন, ‘ এ এক অভূতপূর্ব অনুভূতি। এমন ম্যাচ বার বার হয় না। প্রথমবার ফাইনালে ওঠার অনুভূতি দারুণ।’ প্রসঙ্গত তাদের জুটিতে ওঠা ১৭১ রানের ইনিংসই দলের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছিল।
উদয় তারপর পাল্টা তার সতীর্থকে প্রশ্ন করেন নিজের অনুভূতি জানাতে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ তুমি যখন ব্যাট করতে এলে, তখন ইতিমধ্যেই ৪উইকেট পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তোমার পরিকল্পনা কী ছিল?’ প্রশ্ন শুনে শচীনের সটান জবাব, ‘ওরা অবশ্যই দুর্ধর্ষ বোলিং করছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতিটাও তুমি আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছ। আমরা দুজনে একটি কথাই ভাবছিলাম, শেষ মুহূর্ত অবধি ক্রিজে টিকে থাকতে হবে। তাহলেই জয় নিশ্চিত হবে।’ এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান দলের নতুন পেস তারকা নাসিম শাহের ভাই উবেইদ শাহ এই বিশ্বকাপে কার্যত বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় ভারতের সউমি পান্ডের সঙ্গে এক আসনে যুগ্মভাবে অবস্থান করছেন। দুজনের ঝুলিতেই রয়েছে ১৭টি করে উইকেট। নতুন বলের পাশাপাশি পুরনো বলেও তিনি সমানভাবে ভয়ংকর। ফলে ম্যাচ যে উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে একথা বলাই যায়।