শেডন পার্ক স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রথম দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ২২০। যদিও ডি সোয়ার্ড ও ফন বার্গের লড়াইয়ে এখনো বড়ো রান করতে পারে প্রোটিয়া বাহিনী।
এদিন দিনটা শুরু হয়েছিল ম্যাচের প্রথমে চমক দিয়ে। অধিনায়ক নিল ব্রান্ড টসে সবাইকে চমকে দিয়ে ব্যাটিং বেছে নেয়। তারা দুই স্পিনারকে খেলায়। তিনি এও দাবী করেন যে, ‘পুরো উইকেটটি সবুজ এবং আগামী কয়েকদিন তা খুব ভালো ফল দিতে পারে।’ দক্ষিণ আফ্রিকা গত ১০ বছর ধরে হ্যামিল্টনে তাদের কীর্তির পুনরাবৃত্তি করে এসেছে।
অন্যদিকে রয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। তারা টসে জিতে বোলিং নেবে এমনটাই স্থির করেছিল। তারা সবুজ পিচে চারজন বোলার নিয়ে খেলতে নেমেছেন। চোট প্রাপ্ত ড্যারিল মিচেলের পরিবর্ত হিসাবে উইল ইয়ংকে দলে এনেছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে মিচেল স্যান্টনারের পরিবর্ত হিসেবে নিল ওয়াগনার দলে এসেছেন। অভিষেক ঘটেছে উইলিয়াম ও রোরের। কাইল জেমিসন প্রথম টেস্টের পর চোটের কারণে বাইরে রয়েছেন।
পরবর্তীতে ম্যাচে হামজা ডিফেন্সে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু স্ট্রাইক রোটেট করতে ব্যর্থ হন। সাউদি ও ওয়াগনার তাঁদের শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিং করে যান। দিনের ২১তম ও ২৫তম ওভারের মধ্যে সর্বনিম্ন হারে মাত্র ৫ রান আসে। পরবর্তীতে ওয়াগনার সমস্ত ফিল্ডারদের লেগ সাইডের বাইরে ঠেলে দিয়ে শর্ট বল দিতে থাকেন। পরবর্তীতে টম ল্যাথামের ক্যাচে তিনি অনবদ্য উইকেটটি তুলে নেন। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ম্যাচের পাল্লা কিউইদের দিকে কিছুটা ভারী হয়ে যায়।
অন্যদিকে আফ্রিকার হয়ে টেস্ট অফিসে খাওয়া পঞ্চম সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হলেন ফন বার্গ। ইনিংসের শুরুতে কিউই বোলিং তাঁকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলে। ম্যাচের ৬৮তম ওভারে কোনোরকমে একটি এলবিডব্লিউ উইকেট থেকেও বাঁচেন। ধীরে ধীরে ম্যাচে সেট হতে থাকেন তিনি। দিনের শেষে ডি সোয়ার্ডও যথেষ্ট স্থিতিশীল হয়ে যান। তাঁর ব্যাট থেকে আসে অর্ধশত রানের ইনিংস। দুজনেই এখনো অবধি দিন শেষে অপরাজিত ভাবে উইকেটে টিকে রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে পিচের যে সবুজ রং ছিল তা অনেকটাই হালকা হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দিনে এই ইনিংসকে প্রোটিয়া বাহিনী কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেটাই এবার দেখার।